
নিজেস্ব প্রতিবেদক:
রংপুরের বদরগঞ্জে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও একজন নিহত হওয়ার ঘটনায় উপজেলা বিএনপির তিন নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে জেলা বিএনপি।
শনিবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রংপুর জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক (চলতি দায়িত্ব) হারুন অর রশিদ ওই নোটিশে স্বাক্ষর করেন।
রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান কারণ দর্শানো নোটিশ পাঠানোর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নোটিশপ্রাপ্ত নেতারা হচ্ছেন, বদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী সরকার, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল হক (মানিক) ও উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন কবীর।
আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম ও সদস্যসচিব আনিছুর রহমান লাকু’র নিকট নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বদরগঞ্জ শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন একটি দোকানঘর নিয়ে ব্যবসায়ী জাহিদুল হক জোয়ারদার এবং দোকান মালিক ইশতিয়াক বাবুর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। ইশতিয়াক বাবু দোকানঘর ছাড়ার জন্য চাপ দিলে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। বিষয়টি রাজনৈতিক রূপ নেয় যখন জাহিদুল হক আশ্রয় নেন কালুপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা শহিদুল হক মানিকের কাছে এবং দোকান মালিক ইশতিয়াক বাবু আশ্রয় নেন সাবেক এমপি ও উপজেলা বিএনপির সদস্য মোহাম্মদ আলী সরকারের কাছে।
শনিবার দুপুরে দোকানঘর খুলে দেওয়ার দাবিতে শহীদ মিনার এলাকায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে বিএনপি নেতা শহিদুল হক মানিকের নেতৃত্বে জাহিদুল হকের অনুসারীরা। কিন্তু মোহাম্মদ আলী সরকারের সমর্থকরা তা পণ্ড করে দেন। ফলে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায়, শুরু হয় দুই পক্ষেরই নেতাকর্মীদের দেশীয় অস্ত্রসহ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এ সময় পৌর শহরের বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করে। একপর্যায়ে সৃষ্ট সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন এর মধ্যে বিএনপিকর্মী লাভলু মিয়াসহ অন্তত ১০ জন।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে শনিবার সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় লাভলু মিয়া মারা যান।