শুক্রবার (২ জুলাই) সকাল থেকে লকডাউনের মধ্যেই চলছে বৃষ্টি। সকাল থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাজধানীর বিভিন্ন চেক পয়েন্টে তল্লাশি চালাচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা। বাইরে থেকে রাজধানীতে ঢোকা গাড়ির সংখ্যা আজ অনেক কম। যারা ঢুকছেন তারা অনেকেই জরুরি প্রয়োজনের বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেছেন। আর যারা অযৌক্তিক কারণে আসা-যাওয়া করছেন, তাদের মামলা দেওয়া হচ্ছে।
সোনা মিয়া জসিম, গাবতলী চেকপোস্টে পুলিশ তাকে থামতে বলে। কিন্তু নিরাপত্তা চোখ ফাঁকি দিয়ে মোটরসাইকেলের গতি বাড়িয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন তিনি। পুলিশ সদস্যরা মোটরসাইকেল থামিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে একেক সময় একেক কথা বলা শুরু করেন। কোথায় যাবেন জানতে চাইলে পুলিশকে তিনি বলেন, ‘আমিনবাজার থেকে এসেছেন, মিরপুর যাবেন। সেখানে তার আড়ত আছে।’ কিন্তু জিজ্ঞাসা করে জানা যায়, তিনি আম সাপ্লায়ার। আড়তের সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক নেই। নির্দেশ অমান্য করা এবং মিথ্যা তথ্য দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়।
শুক্রবার গাবতলী পুলিশ চেকপোস্ট সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, যেসব গাড়ি আমিনবাজার হয়ে রাজধানীতে প্রবেশ করছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বাইরে বের হওয়ার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা। অনেকেই বের হয়েছেন বিদেশে যাওয়ার জন্য করোনা টেস্ট করতে, কেউ রোগী দেখার জন্য হাসপাতালে যাচ্ছেন, আবার জরুরি পরিসেবার যানবাহন তো রয়েছেই।
এ বিষয়ে গাবতলী জোনের ট্রাফিক সার্জেন্ট সামসুদ্দিন সরকার বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা অমান্য করা এবং যথাযথ কারণ উপস্থাপন করতে না পারার কারণে অনেককে আমরা মামলা দিচ্ছি। করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে বাসায় থাকা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। বাইরে বের হলে নিজে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, এমনকি পরিবারের সদস্যদেরও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।