আমিনুল ইসলাম বাবু:
রাজধানীর সবুজবাগ থেকে শামীমা আক্তার নামের এক গৃহকর্মীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ তার লাশ মর্গে পাঠিয়েছে। আজ শনিবার (১৭ জুন) সকালে নিউজ পোস্ট বিডিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সবুজবাগ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজমিন নাহার কিরন।
তিনি বলেন, গতকাল শুক্রবার (১৬ জুন) দিবাগত রাতে পূর্ব বাসাবো পাটোয়ারী গলির ১/১৬/৩ নম্বর বাড়ির পঞ্চম তলার ফ্লাট থেকে ওই গৃহকর্মীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই ফ্ল্যাটে থাকতেন গৃহকর্ত্রী নাঈমা হোসেন দম্পতি। এসআই আজমিন নাহার কিরন বলেন, গৃহকর্ত্রী নাঈমা হোসেন পুলিশকে জানিয়েছেন, গত ৬ জুন থেকে শামীমাকে তার বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজে যোগদান করে। তাকে কাজে লাগিয়ে দেন নিহতের বড় বোন ফাতেমা আক্তার। নিহত শামীমা ছিলেন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার চুনকুড়ি গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তার এর মেয়ে। গৃহকর্ত্রী পুলিশকে আরও জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় গৃহকর্মীকে বাসায় রেখে সন্তান নিয়ে দরজায় তালা লাগিয়ে বাহিরে যান। রাতে বাসায় ফিরে দরজা খুলে তিনি দেখতে পান- গৃহকর্মী শামীমা ফ্যানের সাথে ওড়না দ্বারা গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে আছে। এরপর গৃহকর্ত্রী নাঈমা হোসেন বিষয়টি থানা পুলিশকে এবং তার বড় বোন ফাতেমাকে জানায়। খবর পেয়ে আমি সঙ্গীয় পুলিশ সদস্য নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। এরপর দিবাগত গভীর রাতে বড় বোন ফাতেমা আক্তারের শনাক্তে ওই ফ্ল্যাট থেকে আমরা তার লাশ উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি।
নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে এসআই আজমিন নাহার কিরন বলেন, প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে ইমন নামের এক ছেলের সাথে এক মাস আগে শামীমার বিয়ে হয়। এতে তাদের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় শামীমা চলে আসেন তার বড় বোন ফাতেমার কাছে। সেই বড় বোনই ওই বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজে লাগিয়ে দেন। পুলিশের ধারণা, মানসিকভাবে ভেঙে পড়ায় হতাশা থেকে আত্মহত্যা করতে পারে শামীমা।
এদিকে আজ শনিবার দুপুরে শামীমার লাশ নিতে আসা তার বড় বোন ফাতেমা আক্তার কোনো তথ্যই দিত রাজি হননি।
এসআই আজমিন নাহার কিরন বলেন, এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়া গেলে তার মৃত্যুর বিষয়টি আত্মহত্যা না-কি অন্য কোনো কারণ রয়েছে তা নিশ্চিত করে বলা যাবে। তবে গুরুত্ব দিয়েই বিষয়টির তদন্ত চলছে বলেও জানান সবুজবাগ থানা পুলিশের এই কর্মকর্তা।