আমিনুল ইসলাম বাবু:
রাজধানীর খিলগাঁও এলাকার একটি ফ্ল্যাটের বারান্দা থেকে জান্নাতুল ফেরদৌস ইতি (১৮) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ তার লাশ মর্গে পাঠিয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে নিউজ পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন খিলগাঁও থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) সোনিয়া পারভীন।
তিনি বলেন, আজ মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সকালে খবর পেয়ে খিলগাঁও নন্দিপাড়া এলাকার একটি বহুতল ভবনের ৮ম তলার একটি ফ্ল্যাটের সাবলেট বাসার বারান্দার গ্রীলে গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় গৃহবধূ জান্নাতুল ফেরদৌস ইতির লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর আইনি প্রক্রিয়ায় তার মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের স্বামীর নাম মাহাদি ইসলাম।
একই ফ্ল্যাটের বাসিন্দা মৃতের বান্ধবী সুইটি নিউজ পোস্টকে বলেন, গতকাল সোমবার (১৬ অক্টোবর) দিন থেকে রাত পর্যন্ত স্বামী মাহাদি ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে গৃহবধূ ইতির ঝগড়া হয়। পরে ইতি তার মা সুমি আক্তারকে ফোন করে বাসায় আসতে বলেন। মেয়ের ফোন পেয়ে তার মা শিমু আক্তারও বাসায় ছুটে আসেন। এবং রাতে তার রুমে ছিলেন। আর ইতি ছিল আমার রুমে, সেখানেও রাতে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। আমি ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে ছিলাম। সকালে উঠে দেখি সে বারান্দায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে আছে।
তিনি আরও বলেন, তাদের বিয়ের বয়স ১৫ মাস, এখনো তুলে নেয়নি। তবে মাহাদি এ বাসায় তার সাথে মাসে ২০/২২ দিন থাকতো। সে অর্নাস পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে। তিনি প্রথমে মাদ্রাসা লাইনে পড়াশোনা করতেন। সামনে অনুষ্ঠান করে বাসায় তুলে নেয়ার কথা ছিল। আবার শুনেছি ছেলে ৩/৪ মাসের মধ্যে বিদেশও যাওয়ার কথা ছিল। তিনি বলেন, ছেলেটি তাকে (ইতি) মানষিক কষ্ট দিতো।
জানা গেছে, পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার সাইদুল ইসলাম ও শিমু আক্তার দম্পতির দুই মেয়ে এক ছেলের মধ্যে নিহত ইতি ছিল সবার ছোট।
এসআই সোনিয়া পারভীন বলেন, গৃহবধূ ইতির মৃত্যুটি আত্মহত্যা না-কি হত্যা, তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা৷ করে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি- পারিবারিক কলহের কারণে স্বামীর ওপর অভিমান করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন ইতি। তবে তার মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।