রাজধানীতে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে দুর্বৃত্তের আগুন, ৪ জনের লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত: ১১:৫৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৫, ২০২৪

সাইফুল ইসলাম:

রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের ৪টি বগিতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এসময় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে টানা দেড়ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। এসময় দগ্ধ ট্রেন থেকে চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাত ৯টা ৫ মিনিটে রাজধানীর গোপীবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আজ শুক্রবার রাতে নিউজ পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) ইকবাল হোসেন। তবে র্যাবের মিডিয়া সেলের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেছেন, দগ্ধ ট্রেন থেকে ৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় দগ্ধ অনেককে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাত ৯টা ৫ মিনিটে ওই ট্রেনের চারটি বগিতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ডিউটি অফিসার রাকিবুল হাসান।

তিনি বলেন, বেনাপোল থেকে যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি ঢাকায় আসছিল। কমলাপুর রেলস্টেশনে পৌঁছানোর কিছুক্ষণ আগে গোপীবাগ কাঁচাবাজারের সামনে ট্রেনে আগুন দেখা যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গোপীবাগ কাঁচাবাজারে ট্রেনটি পৌঁছালে ৪টি বগিতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। যেসব বগিতে আগুন লাগে, তার ভেতর শত শত যাত্রীর আটকা পড়েন। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। ঘটনার পরপর পুলিশ, র‍্যাব ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে হতাহতদের উদ্ধারে দ্রুত তৎপরতা শুরু করেন।

ঢাকা রেলওয়ে থানার এসআই আশরাফ হোসেন নিউজ পোস্টকে বলেন, আজ শুক্রবার রাত ৯টা ৭ মিনিটের দিকে জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ থেকে তারা ট্রেনে আগুন লাগার খবর পান। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান।

এর আগে গত ১৯ ডিসেম্বর ভোরে ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনে এক নারী ও তার শিশু সন্তানসহ চারজন দগ্ধ হয়ে মারা যান। ওই ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলেছিলেন, যাত্রীবেশে ট্রেনে উঠে আগুন দিয়েছিল দুর্বৃত্তরা।