নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর অধিকাংশ বাসার ছাদে রয়েছে বাগান। যেখান থেকে এডিস মশার লার্ভা জন্মানোর আশঙ্কা থাকে বেশি। গত বছরের মতো এবারও ড্রোন দিয়ে বাসার ছাদে লার্ভা খুঁজছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
এডিস মশা নিধনে এই কার্যক্রম শুরু করে ডিএনসিসি জানিয়েছে, ড্রোন উড়িয়ে ছাদগুলো নিয়মিতভাবে পরীক্ষা করা হবে। এর মাধ্যমে কম সময়ে বেশি বাড়ি পরীক্ষার আওতায় আনা সম্ভব। এমনকি যে বাড়িতে মশার লার্ভা পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াও সহজ হবে।
আজ বুধবার (৫ জুলাই) সকালে মোহাম্মদপুরে ড্রোন উড়িয়ে ছাদবাগানে মশার প্রজননস্থল চিহ্নিতকরণের লক্ষ্যে সার্ভে কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা। তিনি বলেন, এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সারা বছরই বিভিন্ন কার্যক্রম চালায় ডিএনসিসি। এখন বর্ষা মৌসুমে এডিস মশার উপদ্রব বেড়েছে।
সেলিম রেজা বলেন, ‘এডিস মশা নিধনে ড্রোনের মাধ্যমে বাসাবাড়ির ছাদে পানি জমে আছে কিনা বা জমে থাকা পানি মশার প্রজনন আছে কিনা, তা সার্ভে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী চার দিনের মধ্যে পৃথক পাঁচটি ড্রোনের মাধ্যমে নগরের বাসাবাড়িগুলো সার্ভে করা হবে।’
তিনি বলেন, শহরে একটি বাড়ির ছাদের সঙ্গে আরেকটি ছাদ লেগে আছে। সার্ভে করার জন্য প্রতিটি ছাদে হেঁটে যাওয়া সম্ভব নয়। এখন এক জায়গায় দাঁড়িয়ে একটি ড্রোনের মাধ্যমে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকার ছাদ সার্ভে করা যায়। এভাবে পাঁচটি ড্রোনের মাধ্যমে নগরের প্রতিটি এলাকার বাড়ির ছাদ সার্ভে করা হবে। সার্ভে কার্যক্রম পরিচালনার সঙ্গে ভ্রাম্যমাণ আদালতও থাকবে। যে বাড়ির ছাদে মশার লার্ভা পাওয়া যাবে, তাৎক্ষণিক তাদের জরিমানা করা হবে।
ডিএনসিসির শীর্ষ এই কর্মকর্তা বলেন, এডিস মশা নিধনে ৮ জুলাই থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় টানা এক মাস ক্রাশ প্রোগ্রাম চালানো হবে।
এডিস মশা স্বচ্ছ পানিতে জন্মায়। তাই বাসাবাড়িতে কোনো পাত্রে পানি জমতে দেওয়া যাবে না। ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে প্রত্যেককে নিজ নিজ আঙিনা পরিষ্কার রাখতে হবে।
ওই সময় ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম শফিকুর রহমানসহ স্থানীয় কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।