রাজবাড়ীতে কোনো অবৈধ অস্ত্র থাকবে না : পুলিশ সুপার

প্রকাশিত: ১:৩৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪

রাজবাড়ী প্রতিনিধি:

রাজবাড়ীতে কোনো অবৈধ অস্ত্র থাকবে না বলে জানিয়েছেন নবাগত পুলিশ সুপার মোছা. শামিমা পারভীন। তিনি বলেছেন, জেলার নতুন পুলিশ সুপার হিসেবে আমার প্রথম ও প্রধান দায়িত্ব আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা। প্রত্যেকের ব্যক্তি নিরাপত্তা ও জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। পুলিশের প্রতি জনসাধারণের আস্থা পুনরায় ফিরিয়ে নিয়ে আসা। সব নাগরিকের মানবাধিকারসহ সাংবিধানিক যে অধিকার আছে সেগুলো নিশ্চিত করা। জনগণকে অযথা হয়রানি ও মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি দেওয়া।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে রাজবাড়ীতে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

পুলিশ সুপার বলেন, জুলাই ও আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান ছিল। এই গণঅভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি ও যারা আহত হয়েছেন তাদের দ্রুত সুস্থতা ও রোগমুক্তি কামনা করছি। গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় ভয়াবহ অবস্থা ছিল, সেই তুলনায় রাজবাড়ী জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক ছিল। আমি এখানে যোগদান করেই সেটা জানতে পেরেছি। সেটা সম্ভব হয়েছে রাজবাড়ী জেলার জনগণ ও আপনারা যারা আছেন (সাংবাদিকরা) তারা সবাই প্রশাসনের সঙ্গে ছিলেন। এটার কৃতিত্ব সম্পূর্ণ আপনাদের ও রাজবাড়ীর জনগণের।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন যে অভ্যুত্থান পরবর্তী আমাদের পুলিশের সব কার্যক্রম বন্ধ ছিল। চেইন অব কমান্ড মোটামুটি ভেঙে গিয়েছিল। ইনশাআল্লাহ নতুন সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় পুলিশ আবার কর্মস্থলে ফিরে এসেছে, তারা তাদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ করছে। ছাত্র জনতার রক্তেভেজা এই নতুন বাংলাদেশ আমরা যেটা পেয়েছি এই স্বাধীন বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে সমুন্নত রাখার দায়িত্ব আমাদের প্রত্যেকের ও আমাদের সবার। ছাত্র-জনতার বিরলতম অর্জনের এই দেশকে বৈষম্যহীন, কল্যাণময় ও মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা সবাই কাজ করে যাবো। আপনারা আমাদের পাশে থাকবেন।

পুলিশ সুপার বলেন, আমি অত্যন্ত সাধারণ ঘরের মেয়ে। আমার রক্তে মিশে আছে মাটির গন্ধ। তাই প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হয়ে, জনগণের সেবক হয়ে দায়িত্ব পালন করে যেতে চাই। আপনারা আমার পাশে থাকবেন।
এ সময় পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মুকিত সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ইফতেখারুজ্জামানসহ জেলায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।