রাজশাহীত প্রতিনিধি:
ফারাক্কা বাঁধের সব গেট খুলে দেওয়ার তিন দিন পর রাজশাহীতে পদ্মা নদীর পানি বেড়েছে ৪ সেন্টিমিটার। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিকেল ৩টায় রাজশাহী শহরের বড়কুঠি পয়েন্টে পানির উচ্চতা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ দশমিক ৩৪ সেন্টিমিটার।
এর আগে বুধবার (২৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় সর্বশেষ পানির উচ্চতা ছিল ১৬ দশমিক ৩০ সেন্টিমিটার।
জানা গেছে, ভারতের মুর্শিদাবাদ ও মালদহ জেলার গঙ্গা নদীতে অবস্থিত ফারাক্কা বাঁধের সব গেট খুলে দেওয়ায় বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি জেলায় বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছিল। তার মধ্যে রাজশাহী জেলাও ছিল। গত ২৬ আগস্ট ফারাক্কা বাঁধের সব গেট খুলে দেওয়ায় নদী চর ছাড়াও নদীপাড়ের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এতে করে পদ্মার চরে থাকা বাসিন্দাদের অনেকেই বাড়ি ছেড়ে লোকালয়ে চলে আসেন।
গত ২৬ আগস্ট ফারাক্কা বাঁধের সব গেট খুললেও তেমন পানি বাড়েনি পদ্মায়। সেই দিন থেকে একটানা তিন দিন পানির উচ্চতা ছিল ১৬ দশমিক ৩০ সেন্টিমিটার। বুধবার (২৮ আগস্ট) দিনগত রাত থেকে বাড়তে শুরু করে পদ্মার পানি। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় শহরের বড়কুঠি পয়েন্টে পানির উচ্চতা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ দশমিক ৩২ সেন্টিমিটার। অর্থাৎ একরাতে বাড়ে ২ সেন্টিমিটার।
রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য মতে, সোমবার বিকেল ৩টায় পদ্মা নদীর রাজশাহী পয়েন্টে পানির উচ্চতা ছিল ১৬ দশমিক ৩০ সেন্টিমিটার। ওইদিন সন্ধ্যা ৬টার দিকেও ছিল একই উচ্চতা। বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত একই উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হয়। অঞ্চলটিতে পানির বিপদসীমা ১৮ দশমিক ০৫ সেন্টিমিটার। ফলে পদ্মার পানি বিপদসীমার ১ দশমিক ৭১ মিটার নিচে আছে।
রাজশাহী পাউবোর পানির উচ্চতা পরিমাপকারী এনামুল হক বলেন, সর্বশেষ বুধবার (২৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় পানির উচ্চতা ছিল ১৬ দশমিক ৩০ সেন্টিমিটার। এরপর রাত থেকে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় পানির উচ্চতা ছিল ১৬ দশমিক ৩২ সেন্টিমিটার। সকাল ৯টা ও দুপুর ১২টায় ছিল ১৬ দশমিক ৩৩ সেন্টিমিটার। এছাড়া সর্বশেষ বিকেল ৩টায় ১৬ দশমিক ৩৪ সেন্টিমিটার হয় পানির উচ্চতা। ধারণা করা হচ্ছে পদ্মার পানি আরও বাড়তে পারে।
রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুর রহমান অঙ্কুর বলেন, প্রতি বছর ফারাক্কার সব গেট খুলে দেওয়া হয়। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।