জেলা প্রতিনিধি, বগুড়া
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে বাস আটকে চাঁদাবাজির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য রাজশাহী বিভাগের বাস রংপুর বিভাগে চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ফলে বিপাকে পড়েছেন ওই পথের প্রায় হাজারো যাত্রীরা। জরুরি প্রয়োজনে যাদের যেতেই হবে, তারা বিকল্প যান হিসেবে সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে গোবিন্দগঞ্জ পর্যন্ত যাচ্ছেন।
পরিবহন মালিক সমিতির সূত্র জানায়, বগুড়া থেকে গাইবান্ধায় ৪৮টি গাড়ি, কুড়িগ্রাম ১৫টি, সৈয়দপুর ২০টি, রংপুর ৫০টি গাড়িসহ ১৮৫টির মতো গাড়ি চলাচল করে। সেগুলো সব বন্ধ রয়েছে। সকাল থেকে কোনো গাড়ি ওদিকে যায়নি।
এদিকে রংপুর বিভাগীয় সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা দুপুর ১২টায় প্রশাসনের সঙ্গে বিষয়টি সমাধানের জন্য আলোচনায় বসার কথা রয়েছে। আলোচনায় সমাধান হলে বাস চলাচল স্বাভাবিক হতে পারে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী বিভাগীয় সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, গাড়ির টিপস নেওয়ার জন্য গতকাল বিকেল থেকে গাইবান্ধার পরিবহন মালিক সমিতির লোকজন কুড়িগ্রাম এবং রংপুরের ১২টি গাড়ি আটকে রেখেছেন। এজন্য রংপুর বিভাগীয় সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি থেকে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এদিক থেকে আমরাও তাদের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করি বলে জানালেন সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম।তিনি বলেন, রংপুর-সৈয়দপুর আর কুড়িগ্রামের গাড়ি জোরপূর্বকভাবে পলাশবাড়ীওয়ালারা গাড়ির টিপ চায়, টাকা নেয়। আমাদের কাছে থেকেও নেয়। নিয়ম হলো পলাশবাড়ীর গাড়ি পলাশবাড়ী থেকেই টিপ চলবে। পলাশবাড়ীর গাড়ি রংপুর থেকে টিপ চাইলে সেটা দেবে না। কারণ রংপুরের গাড়ি আছে। এটা সমিতির রুলস। কিন্তু ওদের কথা হচ্ছে তাদের টিপস দেওয়া লাগবে। কিন্তু কুড়িগ্রাম এবং রংপুর পরিবহন মালিক সমিতি বলেছে তারা দিতে পারবে না। এ নিয়ে গতকাল বিকেল থেকে কুড়িগ্রাম এবং রংপুরের ১২টি গাড়ি আটকিয়ে রেখেছে।
এই পরিবহন নেতা বলেন, এখন পর্যন্ত গাইবান্ধার প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। দুপুর ১২টায় রংপুর মালিক সমিতির নেতারা ডিআইজি মহোদয়ের সঙ্গে বসার কথা আছে। এরপর কি হয় দেখা যাক।