লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুরে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি নেই। প্রতিদিন উজানের পানি ঢুকছে। সঙ্গে মঙ্গলবার রাতভর বৃষ্টিতে লক্ষ্মীপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে, পানি বেড়েছে আরও ১ ফুটের মত। একই অবস্থা জেলার সব কটি উপজেলায়। কোথাও হাঁটু, কোথাও কোমর এবং কোথাও গলা পানিতে তলিয়ে রয়েছে গ্রামের পর গ্রাম।
রাস্তায় পানি উঠায় সব উপজেলায় ভেঙে পড়েছে যোগাযোগব্যবস্থা। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এখনও ঘরবাড়ি ছেড়ে অনেকেই উঠছে আশ্রয়কেন্দ্রে ও স্বজনদের বাড়িতে। পানির নিচে তলিয়ে আছে অন্তত ৩০ হাজার হেক্টর জমি। পানিবন্দি প্রায় সাড়ে ৮ লাখ মানুষ।
পানিবন্দি এসব মানুষকে নিরাপদে আনতে নেই পর্যাপ্ত নৌকার ব্যবস্থা। ফলে তাদের উদ্ধার করা যাচ্ছেনা, উদ্ধার করতে গিয়ে ফিরে আসছে স্বেচ্ছাসেবীরাও। আবার কেউ কেউ চোর-ডাকাতের ভয়ে বাড়ি ঘর ছেড়ে আসছেন না।
স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে থাকা জেলার ৫টি উপজেলার ৫৮টি ইউনিয়ন ও ৪টি পৌরসভার প্রত্যেকটি এলাকার মানুষ এখন পানিবন্দি।
পানিবন্দি মানুষের অভিযোগ ১০ দিন পার হলেও ত্রাণ পায়নি অনেকেই। রাস্তার পাশ দিয়ে গেলেও ভেতরে কেউ ঢুকছে না, ভেতরের মানুষগুলো নিদারুণ কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন।
জেলায় ১৯৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৩০ হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। বিশুদ্ধ পানি, খাবার, ওষুধ সংকটেও পড়েছেন মানুষজন। এরই মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে দেখা দিয়েছে পানিবাহিত নানা রোগ।
এদিকে ত্রাণ বিতরণের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে পৌরসভা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ডগুলোতে কমিটি করা হয়েছে যাতে প্রত্যন্ত গ্রাম গুলোতে পানিবন্দি মানুষ যেন ত্রাণ সহায়তা পান। এছাড়াও আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রান্না করা খাবার বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটি মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।