রাত পোহালেই ভোট: স্বতন্ত্রে ‘জমজমাট’, ব্যাপক নিরাপত্তা বলয়েও শঙ্কা
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
নিজস্ব প্রতিনিধি:
স্বতন্ত্রে ‘জমজমাট’, ব্যাপক নিরাপত্তা বলয়েও শঙ্কা রাত পোহালেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ
রাত পোহালেই শুরু হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ২৯৯ আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। হাতে সময় মাত্র কয়েক ঘণ্টা। অথচ শুক্রবার রাতে রাজধানীর গোপীবাগে আন্তঃনগর বেনাপোল এক্সপ্রেসে নাশকতায় পাঁচটি তাজাপ্রাণ পুড়ে অঙ্গার হয়েছে। এছাড়া অনেকে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন। দগদগে ক্ষতে ওষুধ দিয়ে সুস্থ করায় ব্যস্ত শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকরা। এ ঘটনায় হতবাক দেশবাসী। ফলে রেকর্ড সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মাঠে থাকলেও অজানা আতঙ্কে ভোটাররা। এরপরও শান্তিপূর্ণ ভোট করতে শেষ সময়ে প্রস্তুতির কথা আবারও মনে করিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এ নির্বাচনে যেমন বিএনপি নেই, তেমনি নেই আরও কিছু উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক দল। বিএনপিসহ অন্য বিরোধীদলগুলো এই নির্বাচন একতরফা বলে অভিযোগ তুলেছে। ফলে এই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মাঠে নামিয়ে নির্বাচন জমজমাট করার চেষ্টা করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এর বাইরে জাতীয় পার্টি ছাড়াও নির্বাচনে আছে বেশকিছু ছোট দল।
তবে শেষ পর্যন্ত এই নির্বাচন কতটা জমে উঠলো সেটা একটা বড় প্রশ্ন। ভোটারদের অংশগ্রহণ কেমন হবে সেটাও দেখার বিষয়।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন কমিশন। ভোটারদের আশ্বস্ত করে নানান কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেছেন, গণতান্ত্রিক নির্বাচনের জন্য মানদণ্ড অনুসারে আমাদের আইন রয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা, ভোটাররা শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারবে। কিন্তু আমরা যেভাবে বলি, সেভাবে নির্বাচন সবসময় শান্তিপূর্ণ হয় না। আমরা চাই, আমাদের নির্বাচন কেবল দেশীয়ভাবেই নয়, আন্তর্জাতিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে। ভোট শুরু হবে সকাল ৮টায়, শেষ হবে বিকেল ৪টায়। তবে কেন্দ্রের বাইরে ভোটারদের লাইন থাকলে ভোট শেষ হতে আরও দেরি হতে পারে। অর্থাৎ যারা ভোট দিতে আসবেন, তাদের ভোট দেওয়া শেষ হলেই ভোট বন্ধ হবে।
ভোটে উৎসবের রং দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা
রাত পোহালেই সারাদেশে ২৯৯ আসনে ভোট। প্রচার শেষ হয়েছে শুক্রবার সকালেই। যেখানেই শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন সেখানে জমে উঠেছে ভোট। ভোটাররাও কাকে ভোট দেবেন তা প্রায় ঠিক করে ফেলেছেন। ২৯৯ আসনের মধ্যে ১৯৮টি আসনে নৌকার জয় প্রায় নিশ্চিত বলে মনে করা হচ্ছে। বাকি ১০১ আসনে নৌকার প্রতিপক্ষ স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতারা। বিএনপিবিহীন এ নির্বাচনে অধিকাংশ স্থানেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা সহজে জয় পাবেন- এমনটা মনে করছেন সেসব এলাকার ভোটাররা। দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুললেও জয়ের বন্দরে নৌকা ভিড়তে বিশেষ বেগ পেতে হবে না। আওয়ামী লীগ সমঝোতার ভিত্তিতে ২৬টি আসনে জাতীয় পার্টিকে ছাড় দিয়েছে। সেখানে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নেই, তবে কোথাও কোথাও আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতারা সেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছেন।
যেমন জমে উঠেছে মেহেরপুর-১ আসনের নির্বাচন। এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নৌকা প্রতীক নিয়ে দুবারের সংসদ সদস্য জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও ট্রাক প্রতীক নিয়ে দুবারের সাবেক সদস্য প্রফেসর আবদুল মান্নান। এ আসনে নৌকা প্রতীকের কর্মী ও সমর্থকদের নৌকা ছেড়ে ট্রাকে ওঠার হিড়িক পড়েছে। কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান ইদ্রিস আলী মাস্টারসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী নৌকা ছেড়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে ট্রাকের প্রচারণায় নেমেছেন। আবার কোথাও কোথাও নৌকা প্রতীকের অফিস পরিবর্তন হয়ে রাতারাতি ট্রাকের নির্বাচনী অফিস হয়েছে।
এছাড়া ১৪ দলকে ছেড়ে দেওয়া ছয়টি আসনেও আওয়ামী লীগের নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে বেশ শক্ত অবস্থান তৈরি করে নিয়েছেন। সবকটি আসনে তাদের জয় গত নির্বাচনের মতো সহজ নাও হতে পারে বলে অভিমত স্থানীয় ভোটারদের।
দল থেকে কোনো বাধা না থাকায় নৌকায় মাঝি হতে ব্যর্থ অনেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। কোনো কোনো আসনে তিন-চারজনও প্রার্থী হয়েছেন। এসব আসনে নৌকার মাঝিরা আওয়ামী লীগ নেতাদের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন।
আট বিভাগের ৬৪ জেলায় ১০১টি গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় আসনে ভোট উৎসব। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৮টি, বরিশালে ৬টি, চট্টগ্রামে ১৬টি, সিলেটে ৮টি, রাজশাহীতে ২০টি, ময়মনসিংহে ৮টি, খুলনায় ১১টি এবং রংপুরে ১৪টি আসন রয়েছে।
রেকর্ড সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তবুও শঙ্কায় ভোটাররা
এইনির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় আট লাখ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তাদের মধ্যে পুলিশের এক লাখ ৭৪ হাজার ৭৬৭ জন, আনসার ব্যাটালিয়নের ৫ লাখ ১৪ হাজার ২৮৮, সশস্ত্র বাহিনীর ৪০ হাজার সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। ভোটগ্রহণ ঘিরে এমন নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হলেও মাঠ পর্যায়ে উত্তাপ ও সংশয় দুই-ই বিরাজ করছে। এর মধ্যেই দেশের বিভিন্ন স্থানে ভোটকেন্দ্রে হামলা ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। অনেক স্থানে প্রতিপক্ষ প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের ভয় দেখানো, ক্যাম্প ভাঙচুরসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। শুক্রবার রাতে রাজধানীর গোপীবাগে আন্তঃনগর বেনাপোল এক্সপ্রেসে দেওয়া আগুনে ঝরেছে কয়েকজনের প্রাণ।
৪২ হাজার ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা বলয়, ব্যালট যাবে সকালে
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪২ হাজার ২৪টি ভোটকেন্দ্র ও দুই লাখ ৬০ হাজার ৮৫৬টি ভোটকক্ষ রয়েছে। ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় পুলিশ-আনসারের ১৫-১৭ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় পৌনে সাত লাখ সদস্য শুক্রবার মাঠে নেমেছেন। এদিন ৬৫৩ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটও নেমেছেন। তারা নির্বাচনী অপরাধ দেখলে তাৎক্ষণিক সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে বিচার করবেন। এরই মধ্যে ভোটকেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে নির্বাচনী সরঞ্জাম। তবে ব্যালট যাবে ভোটগ্রহণের আগ মুহূর্তে।
এমপি নির্বাচনে প্রায় ১২ কোটি ভোটার
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৯টি আসনে ভোটগ্রহণ হতে যাচ্ছে। ভোটের মাঝপথে একজন বৈধ প্রার্থী মারা যাওয়ায় নওগাঁ-২ আসনের ভোট বাতিল করেছে কমিশন। এ নির্বাচনে ভোটার ১১ কোটি ৯৩ লাখ ৩২ হাজার ৯৩৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৫ লাখ ৯২ হাজার ১৯৭, নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৭ লাখ ৩৯ হাজার ৮৮৯ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৮৪৮ জন।
বিএনপিসহ ১৬টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নির্বাচন বর্জন
বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দল রয়েছে। যদিও এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগসহ ২৮টি দল অংশ নিয়েছে। বিএনপিসহ ১৬টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করেছে। ভোট বর্জনের অংশ হিসেবে ৬ ও ৭ জানুয়ারি হরতাল ডেকেছে বিএনপি।
নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দল অংশ না নিলেও আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছেন। এ নির্বাচনে দুই শতাধিক আসনে ৪৩৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অপরদিকে ২৮টি রাজনৈতিক দলের মোট প্রার্থী রয়েছেন এক হাজার ৫৩৪ জন। শুধু আওয়ামী লীগের প্রার্থী আছেন ২৬৬ জন। এরই মধ্যে ভোট বর্জনের ঘোষণাসহ দেশব্যাপী নানান ধরনের সহিংসতার ঘটনাও ঘটছে।
ভোটে চালকের আসনে ৬৬ রিটার্নিং অফিসার
ভোট নির্বিঘ্ন ও সুষ্ঠু করতে চালকের ভূমিকায় ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এর মধ্যে আছেন ৬৪টি জেলার ৬৪ জন জেলা প্রশাসক এবং ঢাকা ও চট্টগ্রামের দুজন বিভাগীয় কমিশনার। ৪২ হাজারের ভোটকেন্দ্রে রিটার্নিং অফিসার থেকে শুরু করে পোলিং অফিসার পর্যন্ত লক্ষাধিক নির্বাচনী কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন। তার মধ্যে রয়েছেন ৬৬ জন রিটার্নিং অফিসার, ৫৯২ জন সহকারী রিটার্নিং অফিসার এবং ৪২ হাজার ১৪৯ জন প্রিসাইডিং অফিসার। নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী, নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে একটি অর্গানোগ্রাম অনুসরণ করা হয়। এতে সবার উপরে থাকেন রিটার্নিং অফিসার। রিটার্নিং অফিসারদের তত্ত্বাবধানেই সার্বিক ভোট প্রক্রিয়া পরিচালিত হয়।
নির্বাচনে সম্ভাব্য ব্যয় প্রায় দুই হাজার ২৭৬ কোটি
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ব্যয় শুরুতে দেড় হাজার কোটি টাকা ধরা হলেও তা বেড়ে দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় দুই হাজার ২৭৬ কোটি ২২ লাখ টাকা। এর মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চাহিদা অনুযায়ী সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ২২৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা। নির্বাচন পরিচালনা খাতে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৫০ কোটি ৬০ লাখ টাকা। প্রায় ১২ কোটি ভোটারের এবারের নির্বাচনে ব্যালট পেপার ছাপানোসহ সার্বিক প্রস্তুতি গুছিয়ে এনেছে নির্বাচন কমিশন। ৬৬ জন রিটার্নিং অফিসার, ৫৯২ জন সহকারী রিটার্নিং অফিসার, প্রায় তিন হাজার নির্বাহী হাকিম এবং হাজারো বিচারিক হাকিম নিয়োজিত রয়েছেন। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে ৯ লাখের মতো জনবল থাকছেন। সেই সঙ্গে প্রায় আট লক্ষাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
ভোটে দেশি পর্যবেক্ষক ২০ হাজার
২০ হাজার ৭৭৩ জন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। এবার ইসি কেন্দ্রীয়ভাবে ৪০টি পর্যবেক্ষক সংস্থার ৫১৭ জন এবং স্থানীয়ভাবে ৮৪টি পর্যবেক্ষণ সংস্থার ২০ হাজার ২৫৬ জনকে ভোট পর্যবেক্ষণের অনুমোদন দিয়েছে। যারা কেন্দ্রীয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন তাদের নামের তালিকা অনুমোদন করে কার্ড দেয় ইসি সচিবালয়। আর যেসব সংস্থা স্থানীয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে, তাদের সংখ্যা ইসি অনুমোদন দিলেও নামের তালিকা ও পর্যবেক্ষক কার্ড দেবেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এক্ষেত্রে কিছু প্রয়োজনীয় দলিল জমা দিতে হয়। পর্যবেক্ষক হতে হলে ন্যূনতম মাধ্যমিক পাস এবং ২৫ বছরের বেশি বয়সী হতে হয়।
জাতীয় সংসদ নিবার্চন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনের কাছে দুই কোটি ১১ লাখ টাকা চেয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ইসির আমন্ত্রিত বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আতিথেয়তায় এ অর্থ প্রয়োজন বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। এ অর্থ পর্যবেক্ষকদের হোটেল ব্যয়, বিভিন্ন কেন্দ্রে যাতায়াত এবং আপ্যায়ন, আতিথেয়তা, বিমানবন্দরের অভ্যর্থনা ও হেল্প ডেস্ক, স্থানীয় হোটেলে মিডিয়া সেন্টার স্থাপন, স্বেচ্ছাসেবক ও নিরাপত্তা কাজে ব্যয় হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে পর্যবেক্ষকদের এ বাজেট প্রাক্কলনে সুপারিশ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
৫১ জনের নামে মামলা, সর্বোচ্চ শাস্তি এক লাখ টাকা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন আসনে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় প্রার্থী ও সমর্থকসহ মোট ৫১ জনের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এছাড়া ৭৪৬ জনের নামে শোকজ দেয় ইসি। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুটি আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত দুই প্রার্থীকে মোট এক লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন নির্বাচন কমিশন। কুমিল্লা-৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারকে এক লাখ এবং বরগুনা-১ আসনের ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তারপও এবার আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন প্রার্থীরা