নিজস্ব প্রতিবেদক:
মাইলেজ জটিলতা নিরসনে দাবি আদায়ে কর্মবিরতিতে যাওয়ায় সাড়ে ২৬ ঘণ্টা ট্রেনে ওঠেনি রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। এ সময়ে সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। গতকাল মঙ্গলবার রাতে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করলে আজ বুধবার সকাল থেকে শুরু হয় ট্রেন চলাচল। ফলে বন্ধ থাকা সময়ে কত টাকার ক্ষতি বাংলাদেশ রেলওয়ের?
রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কর্মবিরতির ফলে দীর্ঘ সময় বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল। এই সময়ে যাত্রীদের বিআরটিসি’র বাসের মাধ্যমে পরিষেবা দেওয়া হয়েছে। ফলে মোট কত টাকার ক্ষতি হয়েছে সেটি এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না।রেলওয়ে সূত্র বলছে, কর্মবিরতিতে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় রেলওয়ের ঢাকা বিভাগে অন্তত এক কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। আর রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলে এই ক্ষতির পরিমাণ দুই কোটি টাকারও বেশি।
ঢাকা বিভাগীয় রেলওয়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এখনই স্পষ্ট করে সঠিক অ্যামাউন্ট বলা যাচ্ছে না। ধারণা থেকে বলতে পারি, গত ডিসেম্বর মাসে ১০ লাখ যাত্রী ঢাকা স্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন মন্তব্যে গিয়েছেন। ওই সময়টাতে যাত্রীদের কাছে টিকিট বিক্রি করে রেলওয়ে আয় করছে ৩৯ কোটি টাকা। এটার গড় হিসাব করলে একটা প্রাথমিক পাওয়া যাবে। সেই হিসেবে দিনে ৩৩ হাজার যাত্রী ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে যান। তাদের কাছে বিক্রি করে এক কোটি ৩০ লাখ টাকার মতো পাওয়া গিয়েছে।
রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার (সিসিএম) সুজিত কুমার বিশ্বাস জানিয়েছেন, পুরো পশ্চিমাঞ্চলে ২৮ জানুয়ারি সারাদিন ট্রেন চলেনি আর আজ ২৯ জানুয়ারি কিছু ট্রেন চলছে না। পশ্চিমাঞ্চলে সব মিলিয়ে দুই কোটি ১৫ লাখ ৭৪ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে পূর্বাঞ্চলের চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমানকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক এ বি এম কামরুজ্জামান জানান, ট্রেন বন্ধ থাকায় দিনে ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি হয় চট্টগ্রাম বিভাগে। আর পুরো পূর্বাঞ্চলের আনুমানিক ২ কোটি টাকার মত ক্ষতি হতে পারে।