রাবির ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে আটক ৩

প্রকাশিত: ১১:৩০ অপরাহ্ণ, মে ৩০, ২০২৩

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে জালিয়াতির অভিযোগে তিন জনকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ মে) ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা চলাকালে আইসিটি সেন্টারের সহায়তায় প্রক্টরিয়াল বডি তাদের আটক করে এবং পুলিশে সোপর্দ করেন।
আটককৃতরা হলেন, নওগাঁ জেলার বদলগাছি থানার মো. মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে স্বপন হোসাইন, স্বপন হোসাইন রাবি শিক্ষার্থী। অন্য আরেক শিক্ষার্থীর নাম এখনো জানা যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সকাল ৯টায় কৃষি অনুষদ ভবনে ১৩৫ নম্বর কক্ষ থেকে প্রথম শিফটে তানভীর আহমেদ রোল-২৪০৯৬ পরিবর্তনে পরীক্ষায় প্রক্সি দেন স্বপন হোসাইন। তিনি নওগাঁ জেলার বদলগাছি থানার মো. মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে।
এদিকে একই শিফটে স্যার জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনে আল হাসান সিয়াম পরিবর্তে প্রক্সি দেন মোহাম্মদ হোসাইন। পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রে থাকা শিক্ষকেরা তাদের চিহ্নিত করলে আইন শৃঙ্খল বাহিনী তাদের আটক করেন। প্রক্সিকাণ্ডে জড়িত স্বপন হোসাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী। অন্য আরেক শিক্ষার্থীর নাম এখনো জানা যায়নি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড আসাবুল হক বলেন, আজকে প্রক্সিকাণ্ডে ৩জনকে আটক করা হয়েছে। বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। পরে তাদেরকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পান্ডে বলেন, প্রক্সি কাণ্ডে দুজনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। এদের দুজন ছাড়াও আরও ১জন আছে যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ-এর ডেপুটি পুলিশ কমিশনার বিজয় বসাক বলেন, রাবির ভর্তি যেন সুষ্ঠু ভাবে হয় তার জন্য আমরা কাজ করছি। আজকে যে প্রক্সিকান্ডে তিনজনকে আটক করা হয়েছে তাদের পেছনে বড় একটি গ্রুপ কাজ করছে। এদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকি সদস্যদের আটকের চেষ্টা করবো আমরা। আমাদের আগের মামলায় যাদের নাম রয়েছে তাদের কিছুটা নামের মিল পাচ্ছি আমরা। আমাদের জায়গায় থেকে আমরা নিরপেক্ষ তদন্ত করবো। একজন নিরপরাধী যেন সাজা না পায় অপরাধী যেন পার না পায় সেদিকে আমরা অবশ্যই নজর রাখবো। তারা যে গ্রুপের হোক তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।