রাষ্ট্রপতির কাছে তিন দেশের রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ

প্রকাশিত: ৪:২৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ১, ২০২৪

মোঃ সাইফুল ইসলাম :

রাষ্ট্রপতি মো.সাহাবুদ্দিনের কাছে আজ বঙ্গভবনে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত তিন দেশের রাষ্ট্রদূতরা পৃথক পরিচয়পত্র পেশ করেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত তিনজন অনাবাসিক রাষ্ট্রদূতগণ হলেন: ইউরোপের বাল্টিক অঞ্চলের লিথুয়ানিয়া প্রজাতন্ত্রের ডায়ানা মিকেভিসিয়েন, গ্রিসের অ্যালিকি কৌতসোমিটোপোলু এবং দক্ষিণ-পূর্ব আফ্রিকান দেশ মালাউইয়ের লিওনার্ড মেনগেজি।
বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বাসস’কে জানান, রাষ্ট্রদূতদের স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি সবার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর গুরুত্ব দেয়।
বাংলাদেশ সবসময় ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সম্প্রসারণকে অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন আশা প্রকাশ করেন, ঢাকায় থাকাকালে এসব দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হবে।

 

বাংলাদেশকে বিপুল সম্ভাবনার দেশ হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ ও উল্লেখিত দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের সকল সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য রাষ্ট্রদূতদের প্রতি আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি দেশগুলোর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক বৃদ্ধিতে ব্যবসায়ী সম্প্রদায় এবং বাণিজ্য প্রতিনিধিদলসহ বেসরকারী এবং সরকারি উভয় প্রতিনিধিদের উচ্চ পর্যায়ের পারস্পরিক সফর-বিনিময়ের ওপর জোর দেন
বাংলাদেশ ওষুধ, তৈরি পোশাক (আরএমজি), চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য ইত্যাদিসহ বিশ্ব-মানের মানের পণ্য উৎপাদন করে থাকে এবং ওই দেশগুলোর ব্যবসায়ীরা এখান থেকে বিভিন্ন পণ্য আমদানির বিবেচনা করতে উদ্যোক্তাদেরকে আহ্বান জানান রাষ্ট্রপ্রধান।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা করেছেন যাতে বাংলাদেশ একটি স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর সফলভাবে জিএসপি+ বাণিজ্য সুবিধা অর্জন করতে পারে।

রাষ্ট্রদূতরা বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইতিবাচক অগ্রগতির প্রশংসা করেন এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
তারা ঢাকায় নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সহযোগিতা কামনা করেন।


বৈঠকে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিবগণ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এরআগে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রদূতদের আগমনের পর রাষ্ট্রপতির গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) একটি অশ্বারোহী দল রাষ্ট্রদূতদের ‘অনার গার্ড’ প্রদান করে।