
ক্রীড়া ডেস্ক:
পাকিস্তান দলে এক ঝাঁক তারকা ক্রিকেটার। সেরা ব্যাটার কিংবা বোলার কোনোটিরই অভাব নেই তাদের। তবুও একের পর এক বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে ব্যর্থ হচ্ছে দলটি। বিশেষ করে ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফাইনাল খেলার পর থেকে একের পর এক আইসিসি টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিচ্ছেলো তারা। তবে এবার সুযোগ ছিল ফলাফল ভিন্ন করার। ২৯ বছর পর তাদের ঘরের মাটিতে আইসিসির কোনো বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট বসেছে।
আর চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সবশেষ আসরেও শিরোপা জয়ী তারা। সব মিলিয়ে বেশ ফেভারিটই ছিল তারা। কিন্তু স্বাগতিক হওয়ার কোনো সুযোগই কাজে লাগাতে পারেনি তারা। বিদায় নিয়েছে কোনো ম্যাচ না জিতে গ্রুপ পর্ব থেকেই। যা নিয়ে ক্ষোভে জ্বলছে দেশের ক্রিকেট সমর্থকরা, চলছে আলোচনা সমালোচনাও। এবার এটা পৌঁছে যাচ্ছে একেবারে শীর্ষ পর্যায়েও। পিসিবি ও ক্রিকেট দলের এমন ব্যর্থতা নিয়ে আলোচনা হবে দেশটির মন্ত্রিসভা ও সংসদে।
সম্প্রতি পাকিস্তানি পত্রিকা ডনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটি জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের রাজনৈতিক ও জনসংযোগ সহকারী রানা সানাউল্লাহ। তিনি ক্রিকেট বোর্ডের সমালোচনা করে বলেন, ‘পিসিবির স্বায়ত্তশাসন সত্ত্বেও তারা ফলাফল দিতে পারেনি। ৯০ কোটি পাকিস্তানি রুপির বাজেটে চ্যাম্পিয়নস কাপের পেছনে সীমাহীন অর্থ ব্যয় করাসহ যা খুশি তাই করেছে পিসিবি।’
এ সময় তিনি পিসিবি ও দলের ব্যর্থতা নিয়ে সংসদে আলোচনা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শাহবাজকে অনুরোধ করবে জানিয়ে বলেন, ‘ক্রিকেট বোর্ড একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। তারা নিজেদের মতো করে কাজ করেছে, তবে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য আনতে ব্যর্থ হয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করব যাতে বিষয়টি মন্ত্রিসভা ও সংসদে আলোচনা করা হয়। এটি কোনো নির্দিষ্ট ঘটনা বা নির্দিষ্ট কোনো চেয়ারম্যানের নিয়োগের বিষয় নয়, বরং এটি গত পাঁচ থেকে দশ বছর ধরে চলমান একটি প্রক্রিয়া, যা ক্রিকেট বোর্ডের কাঠামোগত দুর্বলতাকে স্পষ্টভাবে প্রকাশ করছে।’
এ দিকে চলমান চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য নির্ধারিত বাজেটের তুলনায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে অতিরিক্ত ব্যয় করেছে পাকিস্তান। তিনটি স্টেডিয়ামের সংস্কারের জন্য ১২.৩ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি বরাদ্দ করা হলেও প্রকল্প শেষ হওয়ার পর ব্যয় বেড়ে প্রায় ১৮ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি হয়ে যায়। লাহোর, রাওয়ালপিন্ডি ও করাচি স্টেডিয়ামের আধুনিকায়নের জন্য এই অতিরিক্ত খরচ করা হয়েছে।