সেলিনা আক্তার :
বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউস থেকে ১২ থেকে ১৪ টাকা বাড়তি দামে প্রবাসী আয় কিনেছে ব্যাংকগুলো। এর ফলে বাড়ছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। তবে ঊর্ধ্বমুখী দাম নিয়ন্ত্রণে রেমিট্যান্সের সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে রেমিট্যান্স প্রবাহ আবার কমতে পারে বলে শঙ্কা রয়েছে।
আজ রবিবার (১২ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি নভেম্বরের প্রথম ১০ দিনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বৈধ পথে ও ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ৭৯ কোটি ৪৪ হাজার ডলার। ফলে গড়ে দিনে আসছে ৭ কোটি ৯৪ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সংকট মোকাবিলায় বাড়তি দামে প্রবাসী আয় কিনছে অনেক ব্যাংক। এর ফলে চলতি মাসের শুরুতে অনেক ব্যাংক বাধ্য হয়ে প্রতি ডলার ১২৩ থেকে ১২৪ টাকায় প্রবাসী আয় কিনেছে।
এমন অস্থির পরিস্থিতিতে ডলারের ঊর্ধ্বমুখী দাম নিয়ন্ত্রণে রেমিট্যান্সের সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে প্রবাসী আয়ে ব্যাংকের নিজস্ব প্রণোদনাসহ ডলারের দর কোনোভাবেই ১১৬ টাকার বেশি দেওয়া যাবে না। ফলে চলতি মাসের বাকি দিনগুলোতে রেমিট্যান্স প্রবাহ খুব বেশি নাও বাড়তে পারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চলতি মাসের ১০ দিনে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে এসেছে, এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৪ কোটি ৯২ লাখ ৪০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ১ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৭২ কোটি ৩২ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।
গত অক্টোবরে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৭ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলার। এর আগে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম তিন মাস রেমিট্যান্স প্রবাহ ধারাবাহিকভাবে কমেছিল। গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসী আয় বড় হোঁচট খায়। ওই মাসে গত সাড়ে ৩ বছর বা ৪১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন প্রবাসী আয় দেশে আসে, যা পরিমাণে ১৩৪ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এখন আন্তঃব্যাংকে ডলার লেনদেন হচ্ছে ১১১ টাকায়।
কার্ব মার্কেট বা খোলা বাজারে নগদ এক ডলার কিনতে গ্রাহকদের গুণতে হচ্ছে ১২৬ টাকা। চিকিৎসা, শিক্ষা বা ভ্রমণের জন্য যারা বিদেশে যাচ্ছেন, তাদেরও নগদে প্রতি ১ ডলার কিনতে খরচ করতে হচ্ছে ১২৬ টাকা পর্যন্ত।