সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের জামতৈল স্টেশনে লাইনচ্যুত বগি ও ইঞ্জিন রেখেই সাড়ে চার ঘণ্টা পর বিকল্প ‘লাইট-ইঞ্জিনের’ সাহায্যে রাজশাহীর দিকে ছেড়ে গেল দুর্ঘটনা কবলিত কমিউটার ট্রেনটি। রোববার রাত পৌনে ১২টার দিকে ঢাকা-রাজশাহীগামী কমিউটার (ফাইভ ডাউন) ট্রেনটি ছেড়ে যায়। জামতৈল স্টেশন মাস্টার ইসমাইল হোসেন জানান, ঈশ্বরদী থেকে লাইট ইঞ্জিন এনে ‘লাইনচ্যুত ইঞ্জিন ও বগি’ স্টেশনে রেখেই গন্তব্যের দিকে চলে যায় ট্রেনটি।
এর আগে পশ্চিমাঞ্চল রেল বিভাগ ঈশ্বরদী থেকে একটি ‘রিলিফ ট্রেন’ দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছতে দেখা যায়। উদ্ধারের প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা আগে সিগন্যাল ছাড়াই এক নম্বর প্লাটফর্ম দিয়ে স্টেশন অতিক্রম করতে গিয়ে লাইনচ্যুত হয় ট্রেনটির ইঞ্জিন ও বগি। ট্রেনটি লাইনচ্যুত হলে আতঙ্কে ছোটাছুটি করেন ট্রেনটির প্রায় ছয় শতাধিক যাত্রী। এদিকে লাঞ্ছিত হওয়ার ভয়ে পালিয়ে যান ট্রেনটির লোকোমাস্টার (চালক) হাফিজুর রহমান। এ ঘটনায় পশ্চিমাঞ্চল রেল বিভাগ, ঈশ্বরদী থেকে একটি তদন্ত দল গঠন হয় বলে পাকশীর বিভাগী রেল ব্যবস্থাপক নুর মোহাম্মদ জানান।
প্রসঙ্গত, রোববার সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে ঢাকা-রাজশাহী কমিউটার (ফাইভ ডাউন) ট্রেনের ইঞ্জিন ও সামনের একটি বগি সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের ঢাকা-সিরাজগঞ্জ-ঈশ্বরদী রেলপথের জামতৈল স্টেশনে লাইনচ্যুত হয়। সিগন্যাল ছাড়াই এক নম্বর প্লাটফর্ম দিয়ে স্টেশন অতিক্রম করতে গিয়ে লাইনচ্যুত হয় ট্রেনটির ইঞ্জিন ও বগি। এরপর ঢাকা-রাজশাহী রুটে ট্রেন চলাচল কিছু সময় বন্ধ থাকে। পরে দুই ও তিন নম্বর প্লাটফর্মের লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা করে কর্তৃপক্ষ।