
সাজ্জাদ হসেন:
চলছে রোজার মাস। দীর্ঘ সময় না খেয়ে কারণে অনেকের শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। এ কারণে চিকিৎসকরা ইফতার ও সেহেরিতে পর্যাপ্ত পানি পানের পরামর্শ দেন। অনেকে পর্যাপ্ত পানি না পান করার কারণে পানিশূন্যতায় ভোগেন। বিশেষজ্ঞদের মতে,যখন শরীর পানিশূন্য হয়, তখন বেশ কিছু স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকে। এ কারণে রোজা রেখে পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করা গুরুত্বপূর্ণ। এর পাশাপাশি রোজা রেখে কিছু খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। তা না হলে শরীর পানিশূন্য হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
লবণাক্ত খাবার
চিপস, আচার, টিনজাত খাবার এবং প্রক্রিয়াজাত মাংসের মতো খাবারে লবণ বেশি থাকে। এসব খাবার শরীরকে কোষ থেকে পানি টেনে নিতে বাধ্য করে। যার ফলে দিনের বেলায় পিপাসা বাড়ে। তখন শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে।
ক্যাফিনযুক্ত পানীয়
কফি, চা এবং সোডায় থাকা ক্যাফেইন প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধক। এর অর্থ হলো এগুলো প্রস্রাব উৎপাদন বাড়ায়, যার ফলে শরীরে দ্রুত পানিশূন্যতা দেখা দেয়। যেহেতু রোজা রেখে পানি খাওয়া যাবে না, তাই সেহরির সময় ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলাই ভালো।
চিনিযুক্ত খাবার এবং পানীয়
মিষ্টি, চিনিযুক্ত পেস্ট্রি, সোডা এবং এনার্জি ড্রিংকের মতো পানীয়ের মতো উচ্চ চিনিযুক্ত খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি করতে পারে। এর ফলে শরীরে তৃষ্ণার্ত ভাব আরও বেড়ে যেতে পারে।
ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার
চিকেন ফ্রাই, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এবং অন্যান্য ভাজাপোড়া জাতীয় খাবারে সাধারণত সোডিয়াম এবং অস্বাস্থ্যকর চর্বি বেশি থাকে। এসব খাবার শরীরে পানিশূন্যতার কারণ হতে পারে। এই খাবারগুলি হজম করাও কঠিন। এসব খাবার খেলে শরীরে অলসতা দেখা দেয়। যার ফলে শরীরের হাইড্রেটেড থাকার ক্ষমতা হ্রাস পায়।