
ক্রীড়া ডেস্ক:
কিলিয়ান এমবাপে মাঠে নামার পর রোমাঞ্চ জমে উঠেছিল। তার ছোঁয়ায় বদলে যাওয়া রিয়াল মাদ্রিদ এগিয়েও যায় ম্যাচে। তবে থিবো কোর্তোয়ার ভুলে সমতায় ফিরে আসে বার্সেলোনা এবং ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। যখন মনে হচ্ছিল, টাইব্রেকারেই নির্ধারিত হবে চ্যাম্পিয়ন, তখন ১১৬তম মিনিটে জুল কুন্দের দুর্দান্ত গোলে ব্যবধান গড়ে নেয় বার্সা। উত্তেজনাপূর্ণ এই লড়াইয়ে কোপা দেল রের শিরোপা জিতে নেয় হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাতে সেভিয়ায় হওয়া শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে ৩-২ গোলের জয় তুলে নেয় বার্সেলোনা। প্রতিযোগিতার ইতিহাসে এটি তাদের রেকর্ড ৩২তম শিরোপা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শিরোপাজয়ী ক্লাবের সংগ্রহ ২৪টির বেশি নয়।
ম্যাচের শুরুটা ছিল কিছুটা শান্ত। বল দখলে রেখে আক্রমণের ছক সাজাতে থাকে বার্সেলোনা, আর রিয়াল মাদ্রিদ ছিল কিছুটা ছন্দহীন। তৃতীয় মিনিটে কর্নার থেকে হেডে লক্ষ্যে রাখতে পারেননি কুন্দে। একাদশ মিনিটে বড় ধাক্কা খায় রিয়াল; চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন ফেরল মদি। তার জায়গায় নামেন ফ্রান গার্সিয়া।
পাঁচ মিনিট পর রাফিনিয়ার ক্রস রিয়ালের ডি-বক্সে ফেদেরিকো ভালভের্দের হাতে লাগলে হ্যান্ডবলের জোরালো আবেদন করে বার্সেলোনা, তবে রেফারি তাতে সাড়া দেননি। ১৯তম মিনিটে ইয়ামালের আড়াআড়ি শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এরপর কুন্দের জোরালো হেড ঠেকাতে সক্ষম হন কোর্তোয়া।
২৮তম মিনিটে পেদ্রির দুর্দান্ত গোলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। ইয়ামালের দুর্দান্ত কাট-ব্যাক থেকে পাওয়া বল জালে পাঠান পেদ্রি, যেখানে কিছুই করার ছিল না কোর্তোয়ার। এরপর রাফিনিয়ার শট ঠেকান রিয়াল গোলরক্ষক। ৩৫তম মিনিটে বেলিংহ্যামের গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়। প্রথমার্ধে বল দখলে ৬৩ শতাংশ আধিপত্য ছিল বার্সার এবং ৯টি শটের মধ্যে ৪টি লক্ষ্যে ছিল। রিয়ালের একমাত্র শট ছিল লক্ষ্যভ্রষ্ট।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আক্রমণে ধার বাড়াতে রদ্রিগোর জায়গায় এমবাপেকে মাঠে নামান কার্লো আনচেলত্তি। ৪৬তম মিনিটেই ইয়ামালের শট ঠেকান কোর্তোয়া। এরপর রাফিনিয়ার দূরপাল্লার শটও বাঁচান তিনি। রিয়াল প্রথমবার লক্ষ্যে শট নিতে সক্ষম হয় ৪৯তম মিনিটে, তবে স্ট্যান্সনি ঝাঁপিয়ে সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দেন।
৭০তম মিনিটে সরাসরি ফ্রি কিকে রিয়ালকে সমতায় ফেরান এমবাপে। তার ক্যারিয়ারের প্রথম সরাসরি ফ্রি কিকের গোল এটি। সাত মিনিট পর কর্নার থেকে অহেলিয়া চুয়ামেনির হেডে এগিয়ে যায় রিয়াল। এরপরও একাধিকবার গোলের সুযোগ তৈরি করে দুই দল।
৮৪তম মিনিটে মাঝমাঠ থেকে আসা বল ধরে রুডিগারকে হারিয়ে দুর্দান্ত শটে বার্সেলোনাকে সমতায় ফেরান ফেররান তোরেস। যোগ করা সময়ে পেনাল্টি পেয়েছিল বার্সা, কিন্তু ভিএআরের সাহায্যে সিদ্ধান্ত পাল্টান রেফারি এবং ডাইভ দেওয়ার কারণে রাফিনিয়া দেখেন হলুদ কার্ড।
অতিরিক্ত সময়ের প্রথম ভাগে দুই দলই বেশ রক্ষণাত্মক খেলে। ১০৪ মিনিটে দুর্দান্ত সুযোগ পেলেও তোরেসের শট লক্ষ্যে থাকেনি। ১০৭ মিনিটে আবারও অফসাইডের কারণে বাতিল হয় তার গোল।
শেষ পর্যন্ত ১১৬তম মিনিটে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করেন কুন্দে। রিয়াল ডি-বক্সের কাছে ব্রাহিম দিয়াসের পাস কুন্দে দখলে নিয়ে জোরালো শটে জাল খুঁজে নেন। শেষ সময়ে এমবাপে একাধিক প্রচেষ্টা চালালেও সফল হতে পারেননি। অবশেষে বার্সেলোনা উল্লাসে ভাসে কোপা দেল রের শিরোপা নিয়ে।
এই শিরোপা জয়ের মধ্য দিয়ে মৌসুমে তিনটি বড় শিরোপার আশা টিকিয়ে রাখল বার্সেলোনা—এখন তাদের সামনে লক্ষ্য লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ।
অন্যদিকে, আগেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে যাওয়া রিয়াল মাদ্রিদের এখন একমাত্র ভরসা লা লিগা। তবে সেখানেও তারা বার্সেলোনার চেয়ে ৪ পয়েন্ট পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
ক্রীড়া ডেস্ক:
রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা
কিলিয়ান এমবাপে মাঠে নামার পর রোমাঞ্চ জমে উঠেছিল। তার ছোঁয়ায় বদলে যাওয়া রিয়াল মাদ্রিদ এগিয়েও যায় ম্যাচে। তবে থিবো কোর্তোয়ার ভুলে সমতায় ফিরে আসে বার্সেলোনা এবং ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। যখন মনে হচ্ছিল, টাইব্রেকারেই নির্ধারিত হবে চ্যাম্পিয়ন, তখন ১১৬তম মিনিটে জুল কুন্দের দুর্দান্ত গোলে ব্যবধান গড়ে নেয় বার্সা। উত্তেজনাপূর্ণ এই লড়াইয়ে কোপা দেল রের শিরোপা জিতে নেয় হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাতে সেভিয়ায় হওয়া শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে ৩-২ গোলের জয় তুলে নেয় বার্সেলোনা। প্রতিযোগিতার ইতিহাসে এটি তাদের রেকর্ড ৩২তম শিরোপা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শিরোপাজয়ী ক্লাবের সংগ্রহ ২৪টির বেশি নয়।
ম্যাচের শুরুটা ছিল কিছুটা শান্ত। বল দখলে রেখে আক্রমণের ছক সাজাতে থাকে বার্সেলোনা, আর রিয়াল মাদ্রিদ ছিল কিছুটা ছন্দহীন। তৃতীয় মিনিটে কর্নার থেকে হেডে লক্ষ্যে রাখতে পারেননি কুন্দে। একাদশ মিনিটে বড় ধাক্কা খায় রিয়াল; চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন ফেরল মদি। তার জায়গায় নামেন ফ্রান গার্সিয়া।
পাঁচ মিনিট পর রাফিনিয়ার ক্রস রিয়ালের ডি-বক্সে ফেদেরিকো ভালভের্দের হাতে লাগলে হ্যান্ডবলের জোরালো আবেদন করে বার্সেলোনা, তবে রেফারি তাতে সাড়া দেননি। ১৯তম মিনিটে ইয়ামালের আড়াআড়ি শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এরপর কুন্দের জোরালো হেড ঠেকাতে সক্ষম হন কোর্তোয়া।
২৮তম মিনিটে পেদ্রির দুর্দান্ত গোলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। ইয়ামালের দুর্দান্ত কাট-ব্যাক থেকে পাওয়া বল জালে পাঠান পেদ্রি, যেখানে কিছুই করার ছিল না কোর্তোয়ার। এরপর রাফিনিয়ার শট ঠেকান রিয়াল গোলরক্ষক। ৩৫তম মিনিটে বেলিংহ্যামের গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়। প্রথমার্ধে বল দখলে ৬৩ শতাংশ আধিপত্য ছিল বার্সার এবং ৯টি শটের মধ্যে ৪টি লক্ষ্যে ছিল। রিয়ালের একমাত্র শট ছিল লক্ষ্যভ্রষ্ট।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আক্রমণে ধার বাড়াতে রদ্রিগোর জায়গায় এমবাপেকে মাঠে নামান কার্লো আনচেলত্তি। ৪৬তম মিনিটেই ইয়ামালের শট ঠেকান কোর্তোয়া। এরপর রাফিনিয়ার দূরপাল্লার শটও বাঁচান তিনি। রিয়াল প্রথমবার লক্ষ্যে শট নিতে সক্ষম হয় ৪৯তম মিনিটে, তবে স্ট্যান্সনি ঝাঁপিয়ে সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দেন।
৭০তম মিনিটে সরাসরি ফ্রি কিকে রিয়ালকে সমতায় ফেরান এমবাপে। তার ক্যারিয়ারের প্রথম সরাসরি ফ্রি কিকের গোল এটি। সাত মিনিট পর কর্নার থেকে অহেলিয়া চুয়ামেনির হেডে এগিয়ে যায় রিয়াল। এরপরও একাধিকবার গোলের সুযোগ তৈরি করে দুই দল।
৮৪তম মিনিটে মাঝমাঠ থেকে আসা বল ধরে রুডিগারকে হারিয়ে দুর্দান্ত শটে বার্সেলোনাকে সমতায় ফেরান ফেররান তোরেস। যোগ করা সময়ে পেনাল্টি পেয়েছিল বার্সা, কিন্তু ভিএআরের সাহায্যে সিদ্ধান্ত পাল্টান রেফারি এবং ডাইভ দেওয়ার কারণে রাফিনিয়া দেখেন হলুদ কার্ড।
অতিরিক্ত সময়ের প্রথম ভাগে দুই দলই বেশ রক্ষণাত্মক খেলে। ১০৪ মিনিটে দুর্দান্ত সুযোগ পেলেও তোরেসের শট লক্ষ্যে থাকেনি। ১০৭ মিনিটে আবারও অফসাইডের কারণে বাতিল হয় তার গোল।
শেষ পর্যন্ত ১১৬তম মিনিটে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করেন কুন্দে। রিয়াল ডি-বক্সের কাছে ব্রাহিম দিয়াসের পাস কুন্দে দখলে নিয়ে জোরালো শটে জাল খুঁজে নেন। শেষ সময়ে এমবাপে একাধিক প্রচেষ্টা চালালেও সফল হতে পারেননি। অবশেষে বার্সেলোনা উল্লাসে ভাসে কোপা দেল রের শিরোপা নিয়ে।
এই শিরোপা জয়ের মধ্য দিয়ে মৌসুমে তিনটি বড় শিরোপার আশা টিকিয়ে রাখল বার্সেলোনা—এখন তাদের সামনে লক্ষ্য লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ।
অন্যদিকে, আগেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে যাওয়া রিয়াল মাদ্রিদের এখন একমাত্র ভরসা লা লিগা। তবে সেখানেও তারা বার্সেলোনার চেয়ে ৪ পয়েন্ট পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।