লক্ষ্মীপুর খালের ভাঙনে ঝুঁকিতে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানসহ বিস্তীর্ণ জনপদ
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুরে ওয়াপদা খালের তীব্র স্রোতে ভাঙনের ঝুঁকিতে ঐতিহ্যবাহী বাজার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিস্তীর্ণ জনপদ। এর ভাঙন রোধে জরুরিভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা।
রোববার (১০ সেপ্টম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের চাঁদখালী বাজারে দুই ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে স্থানীয় চাঁদখালী আব্দুর রব উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী চাঁদখালী বাজার, আব্দুর রব উচ্চ বিদ্যালয়, বাজার জামে মসজিদ, জকসিন-ওয়াপদা সড়ক, বসতঘর, ফসলি জমিসহ সৈয়দপুর, রামানন্দি ও চাঁদখালী গ্রামের বিস্তীর্ণ জনপদ।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন লাহারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন মহব্বত, লাহারকান্দি ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা ইয়াকুব শরীফ, প্রফেসর আব্দুর রহমান জাহাঙ্গীর, লাহারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ওমর ফারুক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠক পারভেজ মাহমুদ শামীম, জামেয়া দারুল মাদ্রাসার শিক্ষক আবু ইসহাক প্রমুখ।
লাহারকান্দি ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা ইয়াকুব শরীফ বলেন, চাঁদখালী ও রামানন্দি গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা খালের ভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে। রাস্তাঘাট ভেঙে মানুষের চলাচলের বিঘ্ন ঘটছে। এ অঞ্চলের বহু মানুষের বাড়িঘর ভাঙনে তলিয়ে গেছে। এ অবস্থায় ভাঙন রোধে দ্রুত কার্যকরী ভূমিকা না নিলে দু’টি গ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনা খালে বিলীন হয়ে যাবে।
লাহারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন মহব্বত বলেন, ইউনিয়নের তিনটি গ্রামের মাঝখান দিয়ে ওয়াপদা খাল প্রবাহিত হয়েছে। খালের দুই কূলের মানুষ এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে। আমাদের ঐতিহ্যবাহী চাঁদখালী বাজার ও একমাত্র বিদ্যাপীঠ এ রব উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। রামানন্দি ও চাঁদখালী গ্রামের একটি অংশ ভেঙে প্রায় ৪০০ পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। ভাঙন রোধে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ-উজ জামান খান বলেন, রহমতখালী খাল ও ওয়াপদা খালের বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন রোধে ইতোমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় কাজও করা হয়েছে। চাঁদখালী এলাকাও আমরা পরিদর্শন করেছি। ভাঙনরোধে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি।