আন্তর্জাতিক ডেস্ক রিপোর্টঃ
লন্ডনের মেয়র পদে টানা তিনবার জয়ী হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন লেবার পার্টির সাদিক খান। ঐতিহাসিক বিজয়ের পর ‘বিশ্ব-নেতৃস্থানীয় সবুজ পদক্ষেপ’ নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। এতে বছর শেষে সাধারণ নির্বাচনে লেবার পার্টির বিজয়ের প্রত্যাশা আরও জোরদার হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
ভোটে উপশহরগুলোতে কনজারভেটিভ পার্টির ঢেউ তোলার আশঙ্কা ছিল। কিন্তু ভোটের ফলাফলে এ হুমকি একদম উবে গেছে। নির্বাচনে ৫৩ বছর বয়সী সাদিক তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টির সোসান হলকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছেন। সাদিকের জয়ের ব্যবধান ২ লাখ ৭৫ হাজার ভোট। তিনি ৪৪ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। ২০১৬ সালে প্রথমবার লন্ডনের মেয়র নির্বাচিত হন সাদিক। সেই নির্বাচনেও তিনি প্রায় ৪৪ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন।
তৃতীয় দফায় জয়ের পর পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এই রাজনীতিক যে ভাষণ দেন, তাতে ছিল তিক্ততার বহিঃপ্রকাশ। ভাষণে কনজারভেটিভ প্রতিপক্ষের বিরামহীন নেতিবাচকতার নিন্দা জানান তিনি। এ ছাড়া কার্বন নিঃসরণ সীমিত ও অপরাধ কমানোর জন্য নীতি প্রণয়নের প্রতিশ্রুতি দেন সাদিক। নির্বাচনী প্রচারে সাদিক একটি নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন ও সবুজ রাজধানীর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তাঁর এই প্রতিশ্রুতি কাজে দিয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে গত বছর জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন সাদিক। সেখানে তিনি দাবি করেছিলেন, এ ইস্যুতে লোকজনকে তিনি শিক্ষিত করছেন। ২০৩০ সালের মধ্যে নেট জিরো কার্বন নির্গমন যাত্রায় লন্ডনবাসীকে সঙ্গে নিয়ে অগ্রসর হচ্ছেন বলে জানান তিনি। তখনই মনে হয়েছিল, যানজট, বায়ুর গুণমান ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার বিষয়টি সাদিকের তৃতীয় মেয়াদের দৃষ্টিভঙ্গির কেন্দ্রীয় বিষয় হতে পারে। পরিবেশবাদী গোষ্ঠীগুলো সাদিকের তৃতীয় দফার জয়কে নির্মল বায়ুর বিজয় হিসেবে অভিহিত করছে। এক বছর আগে সাদিক একটি বই প্রকাশ করেছিলেন। এতে পরিবেশের প্রতি তাঁর গুরুত্বসহ লন্ডনের বায়ু নির্মল করার কথা আছে।তিনি নিজ দলের ভোটারদের সমর্থন তো পেয়েছেনই, পাশাপাশি গ্রিন ও লিবারেল ডেমোক্র্যাট (লিব ডেম) ভোটারদেরও মন জয়ে তিনি সফল হয়েছেন বলে ধারণা। খবর বিবিসি ও ব্লুমবার্গের।