লালমনিরহাটে হত্যার তিন দিন পর কাটা মাথা উদ্ধার

প্রকাশিত: ১:২৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ৯, ২০২৫

লালমনিরহাট প্রতিনিধি:

 

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার ভুট্টাক্ষেত থেকে এক নারীর মাথা-বিহীন মরদেহ উদ্ধার করার তিন দিন পর তার কাটা মাথা উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (৮ মার্চ) এই ঘটনায় নিহতের সতিন মেহেরুন বেগমকে (৪৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সতিন মেহেরুন বেগমের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের কুটিবাড়ি গ্রামের ভারতীয় সীমান্তসংলগ্ন ভুট্টাক্ষেত থেকে নিহতের কাটা মাথা উদ্ধার করা হয় ।

এর আগে, গত বুধবার লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের ফুলগাছ বামনটারী শ্মশান এলাকার ভুট্টাক্ষেত থেকে অজ্ঞাতনামা এক নারীর মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পরবর্তীতে সেই নারীর আঙুলের ছাপের মাধ্যমে নিহতের পরিচয় শনাক্ত করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৪৫ বছর বয়সী হাসিনা বেগমের আদিতমারী উপজেলার কুটিবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। ভ্যানচালক আশরাফুল ইসলামের দ্বিতীয় স্ত্রী তিনি। তার মাথাবিহীন মরদেহটি পুলিশ উদ্ধার করেছিল।

শ্রমিকরা মাঠে কাজ করতে গিয়ে মরদেহটি দেখতে পান এবং পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।

ঘটনার পর থেকেই হাসিনার স্বামী আশরাফুল ইসলাম ও তার প্রথম স্ত্রী মেহেরুন আত্মগোপনে চলে যান। সন্দেহভাজন হিসেবে পুলিশের নজরদারিতে ছিলেন তারা । পরে শুক্রবার সন্ধ্যায় মেহেরুন বেগমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হাসিনার কাটা মাথা উদ্ধার করা হয়।

দুর্গাপুর ইউনিয়নের সদস্য এই বিষয়ে আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, আশরাফুল ইসলাম তার দুই স্ত্রীকে আলাদা বাড়িতে রাখতেন। তবে বেশিরভাগ সময় দ্বিতীয় স্ত্রী হাসিনার সঙ্গেই কাটাতেন তিনি। পারিবারিক কলহের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরনবী বলেন, গ্রেপ্তার মেহেরুন বেগম হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী হাসিনার কাটা মাথা উদ্ধার করা হয়েছে। পলাতক স্বামী আশরাফুল ইসলামের খোঁজ জারি রেখেছে পুলিশ।