ক্রীড়া ডেস্ক:
সকালে ১১ রানে ৩ উইকেট: লক্ষ্য ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার লিড শোধ করে তাদের ব্যাটিংয়ে পাঠানো। ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও মুশফিকুর রহিম আশা দিচ্ছেলেন। কিন্তু সকলের পঞ্চম ওভারে রাবাদা ফেরান তাদের। পরেই আউট হয়েছেন লিটন দাস। সকালে ১১ রান যোগ করে ৩ উইকেট হারিয়ে ইনিংস হারের শঙ্কায় বাংলাদেশ।
স্বাগতিকরা ৩৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রানে ব্যাট করছে। ক্রিজে আছেন মেহেদী মিরাজ ও জাকের আলী। প্রোটিয়াদের প্রথম ইনিংসের চেয়ে এখনও ৭৫ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ। জয় দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেছেন। মুশফিক ৩৩ করে ফিরে গেছেন। লিটন ৭ রান করতে পারেন।
১০১ রানে দিন শুরু: মিরপুর টেস্টে বাংলাদেশ দলের লক্ষ্য হার এড়ানো। ৩ উইকেটে ১০১ রান তৃতীয় দিন শুরু করে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসের চেয়ে ১০১ রানে পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ। জয় ও মুশফিক ক্রিজে ছিলেন।
ব্যর্থ তিন বাঁ-হাতি: প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও টপ অর্ডারে বাংলাদেশের তিন বাঁ-হাতি ব্যাটার সাদমান ইসলাম (১), মুমিনুল হক (০) ও চারে নামা অধিনায়ক নাজমুল শান্ত ব্যর্থ হয়েছেন। শান্ত ২৩ রানের ইনিংস খেলেন। ওপেনার জয়ের সঙ্গে ৫০ রানের জুটি গড়েন।
দক্ষিণ আফ্রিকার ৩০৮: প্রথম ইনিংসে ১০৬ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে ৩০৮ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথমদিন তারা ৩৪ রানের লিড নিতেই ৬ উইকেট হারায়। সেখান থেকে উইকেটরক্ষক ব্যাটার কাইল ভেরায়েনে ও পেস অলরাউন্ডার ওয়ান মুলদার ১১৯ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ বাংলাদেশের নাগালের বাহিরে নিয়ে যান। মুলদার ৫৪ রান করে ফিরলেও ভারায়েনে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ১১৪ রানে থামেন। এছাড়া ডিন পিডিট ৩২ রান যোগ করেন।
রাবাদা-তাইজুলের ঝলক: প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ দলের হয়ে দারুণ বোলিং করেছেন তাইজুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ। প্রথম দিন প্রোটিয়াদের ৬ উইকেটের ৫টিই নেন তাইজুল। ক্যারিয়ারের ২০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন। পেসার হাসান নেন ৩ উইকেট। প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার কাগিসু রাবাদা ও মুলদার ৩টি করে উইকেট নেন। স্পিনার কেশব মহারাজ নেন ৩ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে রাবাদা নিয়েছেন ৪ উইকেট।