
ডেস্ক রিপোর্ট:
ইরান কখনও চাপ ও ভয়ভীতির মুখে কোনো আলোচনা গ্রহণ করবে না। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি গতকাল সোমবার এ কথা জানিয়েছেন।
এর আগে ইরানের ওপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা থেকে ইরাককে কিছু ছাড় দেওয়ার সুযোগ বাতিল করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ ছাড়ের আওতায় নিষেধাজ্ঞার পরও ইরাক প্রতিবেশী দেশটি থেকে বিদ্যুৎ কিনতে পারত।
সোমবার নিজের এক্স অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে আরাগচি বলেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি অতীতেও সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ছিল এবং ভবিষ্যতেও তাই থাকবে। এর তথাকথিত সামরিকীকরণের সম্ভাবনা বলে কিছুই নেই। আমরা চাপ ও ভয়ভীতির মধ্যে কখনোই আলোচনায় বসব না, এমনকি আলোচনার বিষয়বস্তু যা-ই হোক না কেন।
আলোচনা এবং হুমকি কিংবা শর্ত চাপিয়ে দেওয়া এক জিনিস নয়। আমরা এখন ইউরোপের তিন দেশ (ই থ্রি) এবং আলাদাভাবে রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে সমান অবস্থানে থেকে পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে পরামর্শ চালিয়ে যাচ্ছি।
বিশ্লেষকদের মতে, তেহরানকে আরও বেশি চাপ দেওয়ার কৌশলের অংশ হিসেবে ইরাকের জন্য বিশেষ ছাড় বাতিল করেছেন ট্রাম্প। এর পরই ইরান জানাল, ভয় দেখালে দেশটি পারমাণবিক ইস্যুতে আলোচনায় বসবে না। খবর বিবিসির।