শাটডাউনে ব্যাংকে গ্রাহক উপস্থিতি কম, ডিজিটাল সেবা ব্যাহত

প্রকাশিত: ৩:২৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৮, ২০২৪

সেলিনা আক্তার:

চাকরিতে কোটা সংস্কার ও হত্যার বিচার দাবিতে শিক্ষার্থীদের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউনে’ রাজধানীর ব্যাংক শাখাগুলো প্রায় ফাঁকা অবস্থা দেখা গেছে। কোনো কোনো শাখায় একেবারে হাতে গোনা গ্রাহক উপস্থিতি ছিল। চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় অনেক ব্যাংক তাদের কর্মকর্তাদের বাসা থেকে (হোম অফিস) কাজ করার সুযোগ দিয়েছে। আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর গুলশান, বনানী ও মহাখালীর সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের কিছু শাখা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বেলা ১১টায় বনানীর অগ্রণী ব্যাংক করপোরেট শাখায় গিয়ে দেখা যায়, মাত্র তিনজন গ্রাহক সেবা নেওয়ার জন্য এসেছেন। অন্যদিন এ সময়ে অন্তত ১৫ থেকে ২০ জন গ্রাহক থাকেন বলে শাখার কর্মকর্তারা জানান। এরপর প্রিমিয়ার ব্যাংকের বনানী শাখায় দেখা যায়, সেখানে পাঁচজন গ্রাহক এসেছেন। কিছু পরে ইসলামী ব্যাংকের গুলশান-২ শাখায় গিয়ে অবশ্য কিছু বেশিসংখ্যক গ্রাহকের দেখা মেলে। তবে সেই সংখ্যা ২০ জনের বেশি ছিল না। অন্যদিন এ সময়ে সাধারণত শতাধিক গ্রাহক শাখায় ব্যাংকিং সেবার জন্য আসেন।
ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহক কামরুজ্জামান জানান, আগামী দুই দিন বন্ধ থাকবে, তাই প্রবাসী আয়ের টাকা তুলতে অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে তিনি ব্যাংকে এসেছেন। টাকা তুলেই বাসায় ফিরে যাবেন।

সিটি ব্যাংকের গুলশান-২ শাখায় গিয়ে তেমন গ্রাহক উপস্থিতি চোখে পড়েনি। এরপর মহাখালীর রূপালী ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, জনতা ব্যাংকসহ আরও কয়েকটি ব্যাংকের শাখায় ঘুরে গ্রাহক উপস্থিতি তেমন চোখে পড়েনি। রাজধানীতে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের অনেক শাখার চিত্রও ছিল একই রকম।

এদিকে মুঠোফোনে ফোর-জি ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়ায় ব্যাংকগুলোর ডিজিটাল সেবার লেনদেন কমে এসেছে। যাঁরা বাসা থেকে ব্রডব্যান্ড সুবিধা ব্যবহার করে লেনদেন করছেন, তাঁরা ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা ব্যবহার করতে পারছেন। পাশাপাশি মোবাইল ব্যাংকিং সেবায়ও লেনদেন বিঘ্নিত হচ্ছে। এসব সেবায় লেনদেন কমে গেছে।

জানতে চাইলে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, আজকে মানুষ বাসা থেকে কম বের হয়েছে। এ জন্য ব্যাংকের শাখাগুলোয় তেমন ভিড় নেই। এ ছাড়া বিকল্প মাধ্যমে এখন ব্যাংকিং সেবা নেওয়া যাচ্ছে। তবে ইন্টারনেটের গতি স্বল্পতার কারণে সেই সেবাও কম হবে। পরিস্থিতি বিবেচনায় অনেক ব্যাংক আজ কর্মীদের বাসা থেকে অফিস করার সুযোগ দিয়েছে।