সিলেট প্রতিনিধি:
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের ওপরে হামলা করেছে বহিরাগতরা। ইটপাটকেলের আঘাতে অন্তত ২০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
আজ শুক্রবার (১৬ জুন) বিকেলে বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে ঢোকা নিয়ে নিরাপত্তাকর্মী ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডার পর এ হামলার ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত ৯ শিক্ষার্থীকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সহকারী প্রক্টর মিজানুর রহমান।
ইটের আঘাতে অনেকের মাথা, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে জখন হয়েছে। আহতদের মধ্যে রয়েছেন অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র ওবায়দুল রহমান, বাংলা বিভাগের ইসমাইল হোসেন, রাকিব, লোকপ্রশাসন বিভাগের অমিও, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শৈশব এবং আলমগীর। অন্যদের নাম জানা যায়নি।
এ সময় প্রক্টরিয়াল বডির দুই সদস্য এবং লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রধান ড. আশরাফ সিদ্দিকীর গায়েও ইট লেগেছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। দুপক্ষের সঙ্গে বসে এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
এর আগে বিকেল ৫টার দিকে স্থানীয়দের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় উভয়দিক থেকে ইটপাটকেল ছোড়া হয় এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বহিরাগতদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে ঢুকতে না দেয়ায় সিকিউরিটি গার্ডের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা হয় তাদের। একপর্যায়ে নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী তাদের ভেতরে যেতে বাধা দেয়। তর্কাতর্কির একপর্যায়ে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বহিরাগতদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এতে উভয়পক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এ সময় অনেকের হাতে দেশীয় অস্ত্র দেখা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয় গেটের সামনে যুবলীগের অফিস থেকে বের হয়ে যুবলীগ নেতা দুলালের নেতৃত্বে অনেকেই হামলায় অংশ নেয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। এ সময় শিক্ষার্থীরাও পাল্টা ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। এতে সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং গেটের সামনে অবস্থান নেয়। ভেতরে শিক্ষার্থীরাও অবস্থান নেন। এ সময় যুবলীগ নেতা দুলালের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন তারা।