ক্রীড়া ডেস্কঃ
একটা লম্বা সময় ভারতের ক্রিকেটে মোহাম্মদ কাইফ ছিলেন ভরসার নাম। মিডল অর্ডারে তার ব্যাটে ভর করে বহু ম্যাচেই জয় পেয়েছে ভারত। ২০০২ সালের ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির ফাইনালে তার ৭৫ বলে ৮৭ রানের ইনিংস জয় এনে দিয়েছিল ভারতকে। সেই কাইফের পর আরও একজন কাইফ হয়ত ভারতের দলে আসতে চলেছেন। তার নামও মোহাম্মদ কাইফ। তবে এই ক্রিকেটারের বড় পরিচয়, তিনি ভারতের বোলার মোহাম্মদ শামির ভাই।
মোহাম্মদ শামি ভারতের উত্তর প্রদেশের সন্তান। কিন্তু, সুযোগ না পেয়ে চলে এসেছিলেন বাংলায়। সেখান থেকেই বাজিমাৎ করেছেন। নিজের সুইং দিয়ে আলোচনায় এসেছেন। জীবনের ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন সময়ের অন্যতম ভয়ঙ্কর বোলার হিসেবে। ২০১৯ বিশ্বকাপে পেয়েছিলেন হ্যাটট্রিক। ২০২৩ বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হয়েছেন। বিশ্বকাপেই ভারতের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী তিনি।
এবার তাকেই টেক্কা দিতে আসছেন তার ভাই মোহাম্মদ কাইফ। বড়ভাই শামির হাত ধরেই উত্তর প্রদেশ থেকে বাংলায় এসেছেন কাইফ। খেলছেন ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটের মর্যাদার প্রতিযোগিতা রঞ্জি ট্রফি। এই টুর্নামেন্টকে ধরা হয় ভারতীয় ক্রিকেটের প্রবেশদ্বার হিসেবে। শামি নিজেও রঞ্জিতে আলো ছড়িয়ে ভারত দলে জায়গা করে নিয়েছিলেন। কাইফও আলো ছড়াচ্ছেন রঞ্জিতে।
চলতি মৌসুমে গত ম্যাচেই অন্ধ্রপ্রদেশের বিরুদ্ধে রঞ্জিতে অভিষেক হয়েছিল কাইফের। সেই ম্যাচে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। দ্বিতীয় ম্যাচে নিজের জন্মস্থান উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে নেন ৪ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ইতিমধ্যেই ৩ উইকেট তার দখলে। সেই সঙ্গে ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ ৪৫ রানের ইনিংসও খেলেছেন। বাংলার ৮ উইকেট পড়ে গিয়েছিল। সেই সময় সুরজ সিন্ধু জয়সওয়াল এবং ঈশান পোড়েলকে নিয়ে ৭৮ রান যোগ করেন কাইফ।
বাংলার হয়ে অনূর্ধ্ব-২৩ দলে তিনি খেলেছিলেন সৌরাশিস লাহিড়ীর অধীনে। সেই সৌরাশিস এখন রঞ্জি ট্রফিতে বাংলা দলেরও সহকারী কোচ। তিনিই জানালেন কাইফের বিশেষত্ত্বের কথা, ‘কাইফ মিডিয়াম পেসার। কিন্তু ওর ব্যাটের হাতটাও ভাল। বুঝতে পারে কোন সময় কোন ধরনের শট খেলা উচিত। সেটাই ওকে বাকিদের থেকে আলাদা করে দেয়।’
রঞ্জিতে এই প্রথম খেললেও কাইফ বাংলার হয়ে সাদা বলের ক্রিকেট আগেই খেলেছেন। ৯ ম্যাচে ১২টি উইকেট আছে তার। অবশ্য ধারাবাহিক হতে পারেননি মুকেশ কুমার, আকাশ দীপ, ঈশান পোড়েলদের দাপটে। ভারতীয় দলের হয়ে খেলতে গিয়েছেন মুকেশ। আকাশ খেলছেন ভারত এ দলের হয়ে। এর মাঝেই কাইফ নিজের জায়গা করে নিয়েছেন। চেনাচ্ছেন নিজের জাতও।