শায়খ আহমাদুল্লাহ জানালেন, ‘দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে গুনাহ হবে কি না’

প্রকাশিত: ১২:০৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৯, ২০২৫

নিজেস্ব প্রতিবেদক:

 

পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ। নাপাকী থেকে পবিত্রতা অর্জন করা সক্ষম ব্যক্তির উপর ওয়াজিব। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তোমার পোশাক-পরিচ্ছদ পবিত্র রাখ’ (মুদ্দাছছির ৪)।

পবিত্রতা অর্জনের প্রধান দুটি পন্থা হলো অজু ও গোসল। এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং তিনি আকাশ থেকে তোমাদের ওপর বারি বর্ষণ করেন তা দ্বারা তোমাদের পবিত্র করার জন্য।’ (সুরা-৮ আনফাল, আয়াত: ১১)। ‘এবং আমি আকাশ থেকে বিশুদ্ধ পানি বর্ষণ করি।’

পাক পবিত্রতা নিয়ে দেশের সুপরিচিত ইসলামী বক্তা শায়খ আহমাদুল্লাহ আলোচনা করেছেন।

এক আলোচনায় হাই কমোডে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে গুনাহ হবে কিনা, এমন প্রশ্ন করা হলে শায়খ আহমাদুল্লাহ জানান, দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে সেটা অনুচিত এবং অনুত্তম হবে।

এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে তার ছিঁটা আমাদের গায়ে এসে লাগে। প্রস্রাবের ছিটা থেকে বাঁচার জন্য নবী করিম (সা.) তাগিদ দিয়েছেন। কবরের আজাবের অন্যতম কারণ হলো প্রস্রাব থেকে ভালো করে পরিচ্ছন্ন না হওয়া। তাই দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করা উচিত নয়।’

এ সম্পর্কে তিনি তিরমিজের আয়াত বর্ণনা করেছেন এভাবে, ‘নবী করিম (সা.) বলেছেন, দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করতে নেই। এ কথা কেই বললে তোমরা বিশ্বাস করবেনা।’

এ জায়গা থেকে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করা না করাই উত্তম বলে মনে করেন এ বক্তা।

তবে শায়খ আহমাদুল্লাহ এ কথাও জানান যে, তবে সৌদিআরবের অন্যান্য উলামা একরাম বলেছেন, কেউ চাইলে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করতে পারে। বিশেষ করে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলে এর ছিটা গায়ে আসতে পারে, কাপড়ে লাগতে পারে এ ধরনের আশঙ্কা যদি না থাকে তাহলে খুব একটা অসুবিধা নাই।

এ বিষয়ে বুখারির একটি হাদিসের উল্লেখ করে তিনি জানান, নবী করিম (সা.) বলেছেন, ময়লাযুক্ত এলাকা যেখানে বসার পরিবেশ ছিলনা সেখানে দাঁড়িয়ে তিনি প্রস্রাব করেছেন। তবে বিশুদ্ধতম দলিল সমৃদ্ধ মনে করেন প্রথম মতটি।

সুতরাং সচরাচর ও সাধারণত দাঁড়িয়ে প্রস্রাব না করাই উত্তম। নবী করিম (সা.) সেটিই করতেন যদি বিশেষ কোনো কারণ না থাকে এমনটিই মনে করেন তিনি।