ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১ কেজি ৮০০ গ্রাম কোকেনসহ এক ভারতীয় নারীকে আটকের দাবি করেছে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। শুক্রবার দিনগত রাত ২টার দিকে তাকে আটক করা হয়। শনিবার (১০ জুন) এসব তথ্য নিশ্চিত করেন কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের উপ পরিচালক নাজমা জ্যাবিন।
আটক ওই নারীর নাম সালোমি লালরামদাহিরি। তিনি ভারতের মিজোরামের বাসিন্দা।
শুল্ক গোয়েন্দার তদন্ত সার্কেলের উপ-পরিচালক নাজমা জাবিন জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত ১টা ১৮ মিনিটের দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট দোহা থেকে বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর জানতে পারে, মরক্কোর কাসাব্লাঙ্কা হতে কাতারের দোহা হয়ে হযরত শাহজালাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে ঢাকাগামী (ফ্লাইট নং: কিউআর-৬৩৮) এর যাত্রীর মাধ্যমে মাদক চোরাচালান সংগঠিত হতে পারে। এর ফলে বিমানবন্দরের বিভিন্ন পয়েন্টে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সতর্কতামূলক অবস্থান গ্রহণ করেন।
পরে গোপন সংবাদ দাতার তথ্য অনুযায়ী কাতারের উল্লিখিত ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণকারী যাত্রী লালরামধারীকে শনাক্ত করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে যাত্রী কোনো মাদক বহন করছেন না বলে জানান।
কিন্তু, যাত্রীর আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় তার লাগেজ (নেভি ব্লু রঙের ট্রলি ব্যাগ) স্ক্যানিং ও যাত্রীর দেহ তল্লাশি করা হলে স্ক্যানিং এ যাত্রীর ট্রলি ব্যাগে মাদকের অস্তিত্ব টের পান গোয়েন্দারা।
এরপর যাত্রীর লাগেজ তল্লাশি করে ১৮০০ গ্রাম সাদা রঙের কোকেন সদৃশ মাদকদ্রব্য পাওয়া যায়। আটককৃত মাদক জাতীয় পণ্য ড্রাগ কিট টেস্টের মাধ্যমে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা প্রাথমিকভাবে কোকেন হিসেবে চিহ্নিত করেন।
শুল্ক গোয়েন্দার এই কর্মকর্তা জানান, যাত্রী অত্যন্ত সুকৌশলে ব্যবহৃত ট্রলির মধ্যে লুকিয়ে মাদক চোরাচালানের উদ্দেশ্যে দেশে এনেছেন। এক্ষেত্রে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মতৎপরতায় তা প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং তাকে রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলেও জানান শুল্ক গোয়েন্দার এই কর্মকর্তা।