শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাবি উপাচার্যের দুঃখ প্রকাশ

প্রকাশিত: ১২:৫৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৭, ২০২৫

সানজিদা মাহবুবা:

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ও অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় বিবৃতি দিয়েছেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ৩টার দিকে এক বিবৃতিতে উপাচার্য বলেন, বর্তমানে দেশ এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এ অবস্থায় কোনো তৃতীয় পক্ষ যাতে সুযোগ নিতে না পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

ক্যাম্পাসে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় মর্মাহত উল্লেখ করে উপাচার্য বিবৃতিতে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন।

ধৈর্য ধারণ এবং সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান উপাচার্য।

বিবৃতিতে তিনি জানান, ২৭ জানুয়ারি অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় শিক্ষার্থীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে।

যেসব বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন, সেগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন উপাচার্য।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে রোববার দিবাগত মধ্যরাতে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পালটা ধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।

এতে মধ্যরাতে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় নীলক্ষেত ও নিউমার্কেট এলাকা।

শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে দফায় দফায় সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের সহায়তায় ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

সন্ধ্যা ৬টার দিকে সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, রোববার বিকালে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ৫ দফা দাবির অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে ঢাবি প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি তাদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন।

এর জেরে শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সায়েন্স ল্যাব মোড় অবরোধ করেন। ঢাবি প্রো-ভিসি ড. মামুন আহমেদ ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানান সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।