নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর তেজগাঁওয়ের শিল্পাঞ্চলে শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনসহ তিনজনকে কুপিয়ে ও গুলি করে আহত করার ঘটনায় আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের নাম সামনে আসছে। সন্ত্রাসী ইমনের হুমকির পরই এ গুলির ঘটনা ঘটেছে। ধারণা করা হচ্ছে অভ্যন্তরীন কোন্দল ও এলাকার আধিপত্য বিস্তারে আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের নেতৃত্বে তার সহযোগীরাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, এ ঘটনায় তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার তদন্তেই মূল রহস্য বেরিয়ে আসবে। আজ মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি জানান, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন কারাগারে থাকাকালে মামুনকে হুমকি দিয়েছিল। ইমনের লোকজন মামুনের ওপর হামলা করেছে বলে ধারণা করছি।
এদিকে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ভুক্তভোগীরাই মামলা করবেন। পরে বিস্তারিত জানানো যাবে।
তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিজুল হক জানান, এ ঘটনায় বেশ কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। আমরা তদন্তের পাশাপাশি অভিযান অব্যাহত রেখেছি।

অন্যদিকে গতকাল সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে গোলাগুলির ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ভুবন চন্দ্র শীল এবং মো. আরিফুল নামে দুই পথচারী আহত হন। এছাড়া সন্ত্রাসী মামুনকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়েছেন দুর্বৃত্তরা।
ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, গতকাল সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার বিজি প্রেস এলাকায় গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটেছে। গুলিতে দুই পথচারী আহত হয়েছেন। এছাড়া শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে কুপিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার আসামি সন্ত্রাসী মামুন। পিয়াসা বার থেকে ফেরার পথে তার মাইক্রোবাসে হামলা হয়। মামুন ২০ বছর জেল খেটে বের হয়েছে।

ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, সন্ত্রাসী ইমন কারাগারে থাকাকালে মামুনকে হুমকি দিয়েছিল। ইমনের লোকজন মামুনের ওপর হামলা করছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। এ ঘটনায় বিস্তারিত তদন্ত হচ্ছে। জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে। ঘটনার তদন্তে সবকিছুই বেরিয়ে আসবে। এরপরই এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে বলে জানান ডিএমপির গোয়েন্দা প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।