শীর্ষ ৫০ ‘অপপ্রচারকারীর’ তালিকা দিল সরকার

প্রকাশিত: ১১:৪৩ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ১, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘাত-সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় গত ১৭ জুলাই রাত থেকে দেশে মোবাইল ইন্টারনেট ও পরদিন থেকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়। এই সময়ে বন্ধ ছিল মেটার প্ল্যাটফর্ম জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম। বন্ধ ছিল টিকটকও। অবশেষে দুই সপ্তাহ পর গতকাল বুধবার দুপুর ২টার পর থেকে দেশে আবার চালু হয়েছে এসব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে গতকাল সকালে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কার্যালয়ে বন্ধ থাকা সামাজিক মাধ্যমগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও টিকটক চালুর ঘোষণা দেন।
তবে প্রতিমন্ত্রী পলক জানান, ফেসবুক বাংলায় আওয়ামী লীগ, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা– এই শব্দগুলো দিলে রিচ কমিয়ে দিচ্ছে। বাংলাদেশের জন্য নিয়োগ দেওয়া ফেসবুকের তথ্য যাচাইকারীরা নিরপেক্ষ নন। তাদের অতীত ও বর্তমান কর্মকাণ্ড সরকারবিরোধী, দেশবিরোধী। সরকার ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমগুলোতে অপপ্রচারকারী শীর্ষ ৫০ জনের তালিকা তৈরি করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে দিয়েছে।

বন্ধ করার পাঁচ দিন পর গত ২৩ জুলাই দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সীমিত পরিসরে চালু করা হয়। ১০ দিন পর ২৮ জুলাই চালু হয় মোবাইল ইন্টারনেট। কিন্তু তখনও বন্ধ ছিল ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম ও টিকটক। ব্রডব্যান্ড সংযোগে ইউটিউব চালু থাকলেও মোবাইলে তা বন্ধ ছিল। তবে এ সময় বিকল্প পথে ভিপিএন ব্যবহার করে এসব প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করেছেন অধিকাংশ ব্যবহারকারী।
বিটিআরসি গত ২৭ জুলাই বন্ধ থাকা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর কর্তৃপক্ষকে সশরীর হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে চিঠি দেয়। এ বিষয়ে গতকাল প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, ইউটিউব ই-মেইলে ব্যাখ্যা দিয়েছে। ফেসবুকের প্রতিনিধি অনলাইনে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

টিকটকের প্রতিনিধি সশরীর হাজির হয়েছেন। বাংলাদেশে সংঘর্ষের সময় ১৬ থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত যেসব কনটেন্ট অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে, সেগুলোর ব্যাপারে সরকার বৈঠকে অসন্তোষ প্রকাশ করে। প্ল্যাটফর্মগুলো ভবিষ্যতে আরও সতর্কতার সঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে সরকারকে আশ্বস্ত করেছে।

প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, ফেসবুক সরকারের অনুরোধের বিপরীতে ১৬ থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত ১৩ শতাংশ এবং ২৫ থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত ৭ শতাংশের কিছু বেশি কনটেন্ট সরিয়েছে। ইউটিউব ১৭ থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত সরিয়েছে প্রায় ২১ শতাংশ কনটেন্ট। টিকটক সরিয়েছে প্রায় ৬৮ শতাংশ।