শেখ রেহানার জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানালেন ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত: ১১:১৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার ৬৯তম জন্মদিনে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ শুভেচ্ছা জানান।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মম হত্যাকাণ্ডে খুনি-ঘাতক চক্রের হাতে পরিবারের সব সদস্যকে হারানোর পর বেদনার মহাসমুদ্র বুকে ধারণ করে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দুই বোন ছিলেন একে-অপরের শেষ অবলম্বন। দুঃখ-কষ্ট ভাগাভাগি করে দুই বোন কাটিয়েছেন নির্বাসিত ও দুর্বিষহ প্রবাস জীবন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর শেখ হাসিনার নির্দেশনায় মানব ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম সেই হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রথম প্রতিবাদ গড়ে তোলেন শেখ রেহানা।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হয়েও কখনও সক্রিয় রাজনীতিতে আসেননি শেখ রেহানা। কিন্তু প্রগতিশীল সমাজব্যবস্থা বিনির্মাণ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলন-সংগ্রামসহ প্রতিটি সংকটে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাসহ দলের অন্যান্য রাজনীতিককে অনুপ্রেরণা জোগানোর পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন।শেখ মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু এবং জাতির জনক হওয়ার পেছনে বঙ্গমাতার যেমন ভূমিকা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক হওয়ার পেছনেও শেখ রেহানার অনুরূপ ভূমিকা রয়েছে। ১৯৭৫ পরবর্তী এ দেশের রাজনীতিতে বাঙালি জাতির সাফল্য-সংগ্রাম ও অর্জনে তিনি এক আত্মপ্রচারবিমুখ নেপথ্যের কান্ডারি। তিনি আত্মনিবেদিতপ্রাণ দেশপ্রেমিক এক মহীয়সী নারী। তিনি তার নামে বরাদ্দকৃত ধানমন্ডির বাড়িটিও দেশের প্রয়োজনে দান করে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, শেখ রেহানা মনেপ্রাণে একজন বাঙালি এবং বাঙালির প্রয়োজনে উদারনৈতিক মানবিক মনোভাবাপন্ন নির্মোহ এক ব্যক্তিত্ব। তিনি অসাধারণ গুণাবলিতে সমৃদ্ধ এক মানবিক হৃদয়ের অধিকারী। বঙ্গবন্ধু পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে বাঙালির প্রতি তার অসীম মমতা, দরদ ও ভালোবাসা। চিন্তা-চেতনায় মন-মননে তিনি একজন আদর্শ বাঙালির নারীর প্রতিকৃতি।

সততার অনুকরণীয় আদর্শ শেখ রেহানা একজন রতœগর্ভা মা। নিজের তিন সন্তানকে তিনি বিশ্বের খ্যাতনামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করিয়েছেন। যারা আজ নিজ নিজ ক্ষেত্রে সফল ও প্রতিষ্ঠিত। বাবাকে হারানোর পর সীমাহীন দুর্ভোগের মুখোমুখি হয়েছেন এবং ধৈর্যের সঙ্গে নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করেছেন। লন্ডনের মতো শহরে এখনো গণপরিবহনে যাতায়াত করেন।

পরিবারের সদস্যদের হারানোর দুঃখ-বেদনাকে একান্ত নিজের করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নীতি ও আদর্শকে ধারণ করে পথ চলেছেন অবিরাম ধারায়। বড় বোন শেখ হাসিনার মতো তিনিও স্বপ্ন দেখেন পিতা মুজিবের সোনার বাংলার—উন্নত ও সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশের। যার হৃদয়ের ক্যানভাসে নিরন্তন ধারায় প্রবাহিত হয় বাংলা ও বাঙালির মঙ্গল-চিন্তা।

দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণ কামনায় নিঃশঙ্কচিত্তে তিনি সর্বদা আপসহীন। ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা সত্ত্বেও একজন নিরহংকারী সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপনের বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানা। ধৈর্য, সততা, সাহস, দৃঢ়তা, অধ্যবসায়, নিষ্ঠা, উদারতা ও সংযমের অপূর্ব সমন্বয়ে গঠিত এক মানবিক চরিত্রের নাম শেখ রেহানা। জন্মদিনে তাকে আবারও শুভেচ্ছাসিক্ত অভিনন্দন।