‘শেখ হাসিনা ইয়্যুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২০’ যুবসমাজকে মানবহিতৈষী কাজে উদ্বুদ্ধ করবে : স্পিকার

প্রকাশিত: ৭:০০ অপরাহ্ণ, জুন ২৬, ২০২১

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা ইয়্যুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২০’ যুবসমাজকে মানবহিতৈষী কাজে উদ্বুদ্ধ করবে। তিনি বলেন, যুবসমাজের উন্নয়নকে জাতীয় উন্নয়নের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে ধরে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। ভিশন ২০২১ এ প্রধানমন্ত্রী যুব উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়ে যুবসমাজের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করেছেন।
স্পিকার আজ রাজধানীর শেখ কামাল অডিটোরিয়ামে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আয়োজিত “শেখ হাসিনা ইয়্যুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২০”-জাতীয় পর্যায়ের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে ওআইসি সম্মেলনে যোগদান করেন, যা পরবর্তীতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এবং ওআইসির সম্মিলিতভাবে কাজ করার পথকে সুগম করেছে। এরই হাত ধরে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং ওআইসি যুবসমাজের মেধা, প্রতিভা ও কর্মদক্ষতাকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে সম্মিলিত প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, কোভিড মাহামারি হেতু উদ্ভূত নিওনরমাল পরিস্থিতিতে চ্যালেঞ্জগুলো সৃজনশীল উপায়ে কাটিয়ে উঠতে ‘শেখ হাসিনা ইয়্যুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২০’ যুবসমাজের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক হিসেবে কাজ করেছে। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে রাজধানী ঢাকায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন সকলকে উজ্জীবিত করবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্টের সুবিধা ভোগ করছে, যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ যুবক। যুবসমাজ কর্মশক্তিতে বলীয়ান, সম্মুখে অগ্রসর হতে তারা সদা অবিচল, তারাই পরিবর্তনের ধারক। উৎপাদনমুখী চিন্তা ও সৃজনশীল ধ্যান-ধারণা নিয়ে যুবসমাজ কোভিড মহামারিতে মানবকল্যাণে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নিরলসভাবে কাজ করেছে।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: আখতার হোসেন, ইসলামিক কো-অপারেশন ইয়্যুথ ফোরামের প্রেসিডেন্ট তাহা আয়হান মূল্যবান বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সংবাদকর্মী উপস্থিত ছিলেন।