নিজেস্ব প্রতিবেদক:
সম্প্রতি শেখ হাসিনা ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানুয়ারিতে দেশে আসবেন বলে মন্তব্য করেছেন দাবিতে টিকটকে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে। তবে এই দাবিটি সঠিক নয় বলে বুধবার (০৮ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার।
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা গেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের কোনো গণমাধ্যমকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি দেশে আসবেন বলে সাক্ষাৎকার দেননি বরং, ভিন্ন ঘটনার একাধিক পুরোনো ফুটেজ ব্যবহার করে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীনভাবে আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে।
ওই ভিডিওর শুরুতে শেখ হাসিনার দুটি ভিডিও ফুটেজ দেখানো হয়েছে। পররর্তীতে, ২০২৪ সালের ০৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার আগে একটি ভাষণ রেকর্ড করতে চেয়েছিলেন কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের জন্য তিনি সেটা করতে পারেননি তবে, শেখ হাসিনা সেই ভাষণ ভারতে গিয়ে একটি ভিডিও বার্তায় দিয়েছেন এবং বাংলাদেশের মানুষের জন্য ০৬ আগস্ট একটি ভিডিও বার্তা শেয়ার করেন দাবি করেন। এ ছাড়াও উপস্থাপক শেখ হাসিনা সেই ভিডিওবার্তায় বলেছেন দাবি করে বলেন, ‘সাময়িক সময়ের জন্য আমি দেশ ছেড়েছি আজীবনের জন্য নয়। আমার সঙ্গে যা ঘটেছে তার সব কিছুর হিসাব নেব আমি। এটা আমার বাবার দেশ, এটা আমার হাতে গড়া বাংলাদেশ। এত সহজে ছেড়ে দেওয়ার মতো পাত্রী আমি নই। মনে রেখো দিনটা তোমার ছিল বাট বছরটা আমার হবে।’
তবে টিকটকের ওই ভিডিও ফুটেজে শেখ হাসিনাকে এমন কিছুই বলতে শোনা যায়নি।
পরবর্তী অনুসন্ধানে ভিডিও ফুটেজটির কিছু কী-ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআই এর ‘অঘও ঘবংি’ ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৪ সালের ০৭ জানুয়ারি ‘ওহফরধ রং ঃৎঁংঃবফ ভৎরবহফৃ’ ইধহমষধফবংয চগ ঝযবরশয ঐধংরহধ ষধঁফং ওহফরধ’ং ৎড়ষব ফঁৎরহম ১৯৭১ খরনবৎধঃরড়হ ডধৎ শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত ভিডিওটি প্রতিবেদনে থাকা শেখ হাসিনার ফুটেজের সঙ্গে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ফুটেজের সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়।
পুরো প্রতিবেদনটি পর্যবেক্ষণ করে ভিডিওটিতে শেখ হাসিনাকে বলতে শোনা যায়, ‘ভারত আমাদের বিশ্বস্ত বন্ধু। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা আমাদের সমর্থন করেছিল। ১৯৭৫ সালের পরে, যখন আমরা আমাদের পুরো পরিবার হারিয়েছিলাম তারা আমাদের আশ্রয় দিয়েছিল। তাই ভারতের জনগণের প্রতি আমাদের শুভকামনা।’
রিউমর স্ক্যানার টিমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এটি ২০২৪ সালের ০৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনের ভিডিও এবং ভিডিওটি বাংলাদেশে ধারণকৃত। এ ছাড়া ভারতের এনডিটিভির ওয়েবসাইটে একই দিনে প্রকাশিত সংবাদ থেকেও একই তথ্য জানা গেছে।
অর্থাৎ, ভিডিওটির সঙ্গে আলোচিত দাবির কোনো সম্পর্ক নেই।
ভিডিওটিতে দেখানো শেখ হাসিনার দ্বিতীয় ফুটেজটির কিছু কী-ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ‘ঘঊডঝ২৪’র ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৪ সালের ২৪ জুলাই ‘শেখ হাসিনা পালায় না : প্রধানমন্ত্রী । ঘবংি২৪’ শীর্ষক ক্যাপশনে প্রচারিত ভিডিওর সঙ্গে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওতে শেখ হাসিনার দ্বিতীয় ফুটেজটির সঙ্গে সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়।
অর্থাৎ এই ভিডিওর সঙ্গেও আলোচিত দাবির কোনো সম্পর্ক নেই।
সুতরাং, জানুয়ারিতে শেখ হাসিনা দেশে আসবেন বলে ভারতের একটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন শীর্ষক দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা গেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের কোনো গণমাধ্যমকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি দেশে আসবেন বলে সাক্ষাৎকার দেননি বরং, ভিন্ন ঘটনার একাধিক পুরোনো ফুটেজ ব্যবহার করে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীনভাবে আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে।
ওই ভিডিওর শুরুতে শেখ হাসিনার দুটি ভিডিও ফুটেজ দেখানো হয়েছে। পররর্তীতে, ২০২৪ সালের ০৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার আগে একটি ভাষণ রেকর্ড করতে চেয়েছিলেন কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের জন্য তিনি সেটা করতে পারেননি তবে, শেখ হাসিনা সেই ভাষণ ভারতে গিয়ে একটি ভিডিও বার্তায় দিয়েছেন এবং বাংলাদেশের মানুষের জন্য ০৬ আগস্ট একটি ভিডিও বার্তা শেয়ার করেন দাবি করেন। এ ছাড়াও উপস্থাপক শেখ হাসিনা সেই ভিডিওবার্তায় বলেছেন দাবি করে বলেন, ‘সাময়িক সময়ের জন্য আমি দেশ ছেড়েছি আজীবনের জন্য নয়। আমার সঙ্গে যা ঘটেছে তার সব কিছুর হিসাব নেব আমি। এটা আমার বাবার দেশ, এটা আমার হাতে গড়া বাংলাদেশ। এত সহজে ছেড়ে দেওয়ার মতো পাত্রী আমি নই। মনে রেখো দিনটা তোমার ছিল বাট বছরটা আমার হবে।’
তবে টিকটকের ওই ভিডিও ফুটেজে শেখ হাসিনাকে এমন কিছুই বলতে শোনা যায়নি।
পরবর্তী অনুসন্ধানে ভিডিও ফুটেজটির কিছু কী-ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআই এর ‘অঘও ঘবংি’ ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৪ সালের ০৭ জানুয়ারি ‘ওহফরধ রং ঃৎঁংঃবফ ভৎরবহফৃ’ ইধহমষধফবংয চগ ঝযবরশয ঐধংরহধ ষধঁফং ওহফরধ’ং ৎড়ষব ফঁৎরহম ১৯৭১ খরনবৎধঃরড়হ ডধৎ শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত ভিডিওটি প্রতিবেদনে থাকা শেখ হাসিনার ফুটেজের সঙ্গে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ফুটেজের সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়।
পুরো প্রতিবেদনটি পর্যবেক্ষণ করে ভিডিওটিতে শেখ হাসিনাকে বলতে শোনা যায়, ‘ভারত আমাদের বিশ্বস্ত বন্ধু। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা আমাদের সমর্থন করেছিল। ১৯৭৫ সালের পরে, যখন আমরা আমাদের পুরো পরিবার হারিয়েছিলাম তারা আমাদের আশ্রয় দিয়েছিল। তাই ভারতের জনগণের প্রতি আমাদের শুভকামনা।’
রিউমর স্ক্যানার টিমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এটি ২০২৪ সালের ০৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনের ভিডিও এবং ভিডিওটি বাংলাদেশে ধারণকৃত। এ ছাড়া ভারতের এনডিটিভির ওয়েবসাইটে একই দিনে প্রকাশিত সংবাদ থেকেও একই তথ্য জানা গেছে।
অর্থাৎ, ভিডিওটির সঙ্গে আলোচিত দাবির কোনো সম্পর্ক নেই।
ভিডিওটিতে দেখানো শেখ হাসিনার দ্বিতীয় ফুটেজটির কিছু কী-ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ‘ঘঊডঝ২৪’র ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৪ সালের ২৪ জুলাই ‘শেখ হাসিনা পালায় না : প্রধানমন্ত্রী । ঘবংি২৪’ শীর্ষক ক্যাপশনে প্রচারিত ভিডিওর সঙ্গে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওতে শেখ হাসিনার দ্বিতীয় ফুটেজটির সঙ্গে সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়।
অর্থাৎ এই ভিডিওর সঙ্গেও আলোচিত দাবির কোনো সম্পর্ক নেই।
সুতরাং, জানুয়ারিতে শেখ হাসিনা দেশে আসবেন বলে ভারতের একটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন শীর্ষক দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।