শেষবারের মতো মুখোমুখি তারা!

প্রকাশিত: ১২:০১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৫

ক্রীড়া ডেস্ক:

পনেরো বছর আগের কথা, শচীন টেন্ডুলকার-উত্তর সময়ে ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন এক তারকার আগমন। তখনও বাংলাদেশের বিপক্ষে দেখা হয়নি তাঁর। অবশেষে ২০১০ সালের ৭ জানুয়ারি মিরপুরে ত্রিদেশীয় সিরিজে প্রথমবার তামিম ইকবালদের মুখোমুখি বিরাট কোহলি।

প্রথম ম্যাচেই ৩ নম্বরে নেমে ৯১ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় ম্যাচেও সেঞ্চুরির আক্ষেপ পূরণ করলেন ১০২ রানে অপরাজিত থেকে। তার পর থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশের বিপক্ষে মোট ১৬ ওয়ানডে খেলেছেন কোহলি। রোহিত শর্মাও খেলেছেন মোট ১৭টি। আজ দুবাইয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে হয়তো শেষবারের মতো খেলতে নামবেন তারা। শেষবারের মতো তাদের মুখোমুখি হবেন হয়তো বাংলাদেশেরও দুই অভিজ্ঞজন– মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর মুশফিকুর রহিম।

কেননা, বয়সের কারণেই এই চার তারকা ক্রিকেটার হয়তো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরই ওয়ানডে থেকে নিজেদের সরিয়ে নেবেন। দুই দলের এই চার সিনিয়রের স্মৃতিতে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের অনেক গল্প গাথা লেখা আছে। জয়-পরাজয়ের অনেক আলোচিত ঘটনার সাক্ষী তারা। আজ যখন তারা মাঠে নামবেন, সেসবের কিছুই কি মনে পড়বে না তাদের? অবশ্য ফাইনালে এই দুটি দল পৌঁছালে আবারও তাদের দেখা হতে পারে এই দুবাইয়ে।

ভারত ম্যাচের উত্তাপে প্রথম ম্যাচেই আগুন হয়ে উঠেছিলেন মুশফিকুর রহিম। ২০০৭ বিশ্বকাপে পোর্ট অব স্পেনের মাঠে সেই দিন ৩ নম্বরে নেমে চার ছক্কা হাঁকিয়ে রাহুল দ্রাবিড়দের হতবাক করে দিয়েছিলেন বছর উনিশের ছেলেটি। তার পর থেকে ভারত ম্যাচে দলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে শুরু করেন মুশফিক। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফতুল্লায় ধোনিদের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেন। মজার ব্যাপার হচ্ছে, সর্বশেষ ভারতের বিপক্ষে তাঁর হাফ সেঞ্চুরি এসেছে এই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেই। ২০১৭ সালের ১৫ জুন বার্মিংহামে সেমিফাইনালে ৬১ রান করেন তিনি। সেই ম্যাচে ৭ উইকেটে ২৬৪ রান করেও অবশ্য ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। ভারতের হয়ে দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার ১২৩ আর বিরাট কোহলি খেলেছিলেন ৯৬ রানের ইনিংস।

ভারতের সঙ্গে মাহমুদউল্লাহর প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ ছিল ২০০৮ সালের ১২ জুন। মিরপুরে সেই ম্যাচে ২৪ করেছিলেন রিয়াদ। এর পর অবশ্য ৬০ ও ৬৪ রানের দুটি অপরাজিত ইনিংস ছিল তাঁর সেই মিরপুরেই। সর্বশেষ ২০২৩ বিশ্বকাপে পুনেতে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে খেলেছিলেন রিয়াদ। ৪৬ করেছিলেন তিনি সেই ম্যাচে। আজ দুবাইয়ে এই চার অভিজ্ঞ ব্যাটারের যে কেউ ম্যাচের নায়ক হতে পারেন।