শ্রম আইনের মামলায় ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে বাদীপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ

প্রকাশিত: ৯:১৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৬, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলায় বাদীপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ। আজ সোমবার (৬ নভেম্বর) ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানার আদালতে মামলার চতুর্থ সাক্ষী মো. মিজানুর রহমানকে আসামিপক্ষের জেরা শেষ হয়েছে। এরপর আদালত ৯ নভেম্বর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ মামলার ৪ জন আসামির ফৌজদারি কার্যবিধি ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য রাখা এবং সাফাই সাক্ষীর দিন ধার্য করা হয়েছে। এদিকে আগামী বৃহস্পতিবার ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য রাখার দিন ধার্য থাকায় ওইদিন ড. ইউনূসকে আদালতে হাজির থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী। এদিন ড. ইউনূসসহ ৪ জনের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন ও ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ। অন্যদিকে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান ও দায়িত্বরত চিফ প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী।
আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, আজ সোমবার (৬ নভেম্বর) মামলার বাদীপক্ষের চতুর্থ ও শেষ সাক্ষীকে আসামিপক্ষের জেরা শেষ হয়েছে। এরপর আগামী ৯ নভেম্বর ফৌজদারি কার্যবিধি ৩৪২ ধারায় আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য রাখা এবং সাফাই সাক্ষী দেওয়ার দিন ধার্য করা হয়েছে। আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য রাখার দিন ধার্য (৯ নভেম্বর) থাকায় ড. ইউনূস আদালতে হাজির থাকতে পারেন।


আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান বলেন, আমাদের বাদীপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। ৯ নভেম্বর ড. ইউনূসসহ ৪ জন আসামির আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য রাখার দিন ঠিক করা হয়েছে। তিনি বলেন, ওইদিন ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আদালতে আসতে হবে। কারণ আজকে থেকে তার জামিন অকার্যকর হয়ে গেছে।
এর আগে গত ২ নভেম্বর এ মামলায় চতুর্থ সাক্ষী মো. মিজানুর রহমান আদালতে জবানবন্দী দেন। এরপর আজ তাকে আসামিপক্ষ জেরা করেন।
এরও আগে গত ২৬ অক্টোবর তৃতীয় এবং ১৮ অক্টোবর এ মামলার দ্বিতীয় সাক্ষী হাদিউজ্জামানের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। গত ১১ অক্টোবর মামলার বাদী শ্রম পরিদর্শক তরিকুল ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে ওই মামলা করেন। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এ মামলায় ড. ইউনূস ছাড়াও গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে বিবাদী করা হয়েছে।