ঢাকা প্রতিনিধি:
১১ দফা দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন জাতীয় সংসদের নির্যাতিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বুধবার (১৪ আগস্ট) জাতীয় সংসদের মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের সামনে মানববন্ধন থেকে এসব দাবি জানান তারা। ১১ দফার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টার কাছে অনুরোধ জানান তারা।
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জাতীয় সংসদ থেকে নিয়ম বহির্ভূত ও অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুতির প্রতিবাদে এবং চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে চাকরিচ্যুত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন।
নির্যাতিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষে কাজী তৌহিদুজ্জামান রাজু বলেন, গত অনির্বাচিত সংসদের অবৈধ সরকারের অবৈধ স্পিকারের অপসারণের দাবিতে আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি। উনি একজন দুর্নীতিবাজ, উনার আশপাশে যত কর্মকর্তা-কর্মচারী আছে সবাই দুর্নীতি ও লুটপাট করে সংসদকে শেষ করে দিয়েছে। তাদের লুটপাটের কারণে সংসদ আজ দেউলিয়ায় পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, স্পিকার অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়েছে। অবৈধভাবে ঠিকাদার দিয়ে কোটি কোটি টাকা লোপাট করেছে। তার সঙ্গে অবৈধভাবে আওয়ামীপন্থি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই অনেককে তারা চাকরি দিয়েছেন। তারা এখন উপসচিব ও যুগ্মসচিব পর্যায়ে চলে গেছেন। তাদের চাকরির কোনো ভিত্তি নেই।
নির্যাতিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবিগুলো হচ্ছে– অনির্বাচিত অবৈধ জাতীয় সংসদের স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের অপসারণ; জাতীয় সংসদের সমস্ত দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের নামের তালিকা প্রকাশ; জাতীয় সংসদের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ; সকল প্রকার চুক্তিভিত্তিক এবং আত্মীকরণ কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত করা; জাতীয় সংসদের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সংসদ এলাকায় প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া; বর্ডার এবং এয়ারপোর্ট দিয়ে যেন কোনো দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী দেশত্যাগ না করতে পারে তার ব্যবস্থা নেওয়া এবং গ্রেফতার করে যথাযথ শান্তি নিশ্চিত করা; বিগত স্বৈরাচার আমলের সকল নিয়োগ বাতিল করা এবং স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় পুনঃনিয়োগ দেওয়া; বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে অবৈধভাবে চাকরিচ্যুত কর্মচারীদের চাকরিতে পুনর্বহাল করা; দুর্নীতি করে উপার্জিত অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া এবং অবৈধভাবে অর্জিত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা; স্বৈরাচারের প্রেতাত্মাদের দুর্নীতির প্রমাণ মুছে ফেলার জন্য যারা তাদের সহযোগিতা করছে তাদের প্রত্যাহার করা; স্বৈরাচারী সরকারের আমলে নির্যাতিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যথাযথভাবে পদোন্নতি এবং সুযোগ-সুবিধা ফিরিয়ে দেওয়া; স্বৈরাচারের দোসর অবৈধ স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের প্রোটোকল প্রত্যাহার করা।