
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
গ্রীষ্মকাল মানেই বাজারে রসালো আম, লিচু, জাম এবং তরমুজের সমাহার। তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এসব রসালো ফল খাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ বলে মনে হয়। ফল হালকা, সতেজ এবং স্বাভাবিকভাবেই মিষ্টি। কিন্তু সকালের নাস্তায় ফল খাওয়া কি সত্যিই সেরা কাজ? অনেকেই বিশ্বাস করেন যে, এক বাটি ফল দিয়ে দিন শুরু করা স্বাস্থ্যকর। কিন্তু সত্যিই কি তাই? চলুন জেনে নেওয়া যাক-সকালের নাস্তায় ফল খাওয়া কি উচিত?
সকালে নাস্তায় ফল খাওয়া কি আসলেই ঠিক নয়। আপনি কী খান শুধু তাই নয়, কখন সেটিও গুরুত্বপূর্ণ। হজমের আগুনকে সাহায্য করে এমন যেকোনো কিছুকে ভালো খাবার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সকাল ৬:০০ টা থেকে ১০:০০ টা পর্যন্ত সময়ে শরীর ঠান্ডা এবং ভারী থাকে। এই সময় হজমশক্তি উষ্ণ থাকে। তখন ফলের মতো ঠান্ডা খাবার খেলে হজমশক্তি দুর্বল হয়ে যেতে পারে, যা হজমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। এর ফলে পেট ফাঁপা, হঠাৎ রক্তে শর্করা বৃদ্ধি, শক্তি হ্রাস, এমনকী ক্লান্তি অনুভব করতে পারেন। এরপর কী হবে? এর পরেই আপনি ক্ষুধার্ত বোধ করতে পারেন।
ফল খাওয়ার সেরা সময় কখন?
ফল খাওয়ার সেরা সময় হলো সকাল ১১:০০ টা থেকে বিকেল ৪:০০ টা পর্যন্ত। খাবারের মধ্যে ফল হলো সেরা খাবার, এতে ক্যালোরি কম এবং সোডিয়াম এবং পটাসিয়ামের মতো খনিজ পদার্থ বেশি থাকে। এটি আপনাকে তীব্র ক্ষুধার সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে।
ফল এবং প্রধান খাবারের মধ্যে কমপক্ষে ৩০ মিনিটের ব্যবধান বজায় রাখা উচিৎ। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষজ্ঞরা খাবারের পর দুই ঘণ্টা এবং খাবারের এক ঘণ্টা আগে ব্যবধান বজায় রাখতে পরামর্শ দেন। ওয়ার্কআউটের আগে বা পরে ফল খাওয়ার আরেকটি দুর্দান্ত সময়।
ওয়ার্কআউটের আগে ফল খেলে তা তাৎক্ষণিকভাবে শক্তি বৃদ্ধি করে এবং ব্যায়ামের পরে শক্তি পুনরায় পূরণ করে। যদি আপনি ব্যায়াম করতে আগ্রহী হন, তাহলে ওয়ার্কআউটের আগে বা পরে একটি কলা বা আম খাওয়া ভালো। এটি প্রয়োজনীয় শক্তি সঞ্চার করে এবং ইলেক্ট্রোলাইট হিসেবেও কাজ করে।