সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিলেন পিবিআই’র তদন্ত কর্মকর্তা

প্রকাশিত: ৬:৪০ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন চার্জশিট জমা দেওয়া তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম। আজ বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ মোহাম্মদ আলী হোসাইনের আদালতে তিনি সাক্ষ্য দেন। তবে এদিন তার সাক্ষ্য শেষ না হওয়ায় আগামী ৪ অক্টোবর সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। এ নিয়ে মামলাটিতে এখন পর্যন্ত ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।


এরআগে মামলাটি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এ বিচারাধীন ছিল। ১৩৫ কার্যদিবসে মামলাটির নিষ্পত্তি না হওয়ায় মামলাটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে ফেরত পাঠানোর আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী। পরে আদালত মামলাটি মহানগর দায়রা আদালতে ফেরত পাঠানোর আদেশ দেন। আসামিরা হলেন- সগিরা মোর্শেদের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী, জা সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহিন , শ্যালক আনাছ মাহমুদ রেজওয়ান, মারুফ রেজা ও মন্টু মন্ডল।
উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই বিকেলে সিদ্ধেশ্বরীর ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সামনে সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় সগিরার স্বামীর করা মামলায় মারুফ রেজা ও আনাস মাহমুদকে আসামি করা হয়।
২০২০ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম আদালতে চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, সগিরা মোর্শেদের পরিবারের সঙ্গে আসামি শাহীনের বিভেদ তৈরি হয়েছিল। এছাড়া শাশুড়ি সগিরাকে অপছন্দ করতেন এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সগিরা-শাহীনের মধ্যেও বিরোধ ছিল। সম্বোধন করা নিয়েও ছিল পারিবারিক বিরোধ।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, সগিরার কাজের মেয়েকে মারধর করেন আসামি ডা. হাসান আলী চৌধুরী। এ নিয়ে পারিবারিক বৈঠকে সগিরাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন শাহীন। আসামিরা নিজেদের বাসায় বসে সগিরাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ডা. হাসান আলী তার চেম্বারে অন্য আসামি মারুফ রেজার সঙ্গে ২৫ হাজার টাকায় হত্যার চুক্তি করেন।
২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত সগিরা মোর্শেদের ভাসুরসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৩১ বছর পর এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হয়। এরপর গত বছরের ১১ জানুয়ারি মামলার বাদী ও সগিরা মোর্শেদের স্বামী আব্দুস সালাম চৌধুরী আদালতে সাক্ষ্য দেন। এর মধ্য দিয়ে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।