সতর্ক পাহারায় আছি, আক্রমণ করলে পাল্টা আক্রমণ হবে: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত: ৬:৪৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৫, ২০২৩

জাহাঙ্গীর আলম:

আগামী ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের দিন রাজপথ দখলে রাখতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, সতর্ক পাহারায় থাকবেন। আক্রমণ হলে পাল্টা আক্রমণ হবে। আর ছাড়বো না।

বুধবার (২৫ অক্টোবর) তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাস্তা ছাড়বেন না। আক্রমণ করবো না। এ পর্যন্ত করি নাই। তাদের ভগবান, অবতার, অনেক শক্তি আছে। অনেকে খবর নেয়। আমরা আক্রমণে ছিলাম না। করি নাই। এই বার সতর্ক পাহারায় আছি। আক্রমণ করলে পাল্টা আক্রমণ হবে। কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। কেন ছাড়বো? অপশক্তিকে রুখতে হবে একসঙ্গে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, গয়েশ্বর বলেছে, অনুমতি না দিলে অলিগলি দখল করবে। অলিগলি দখল করলে নাকি সব দরজা খুলে যাবে গয়েশ্বর বাবুকে স্বাগত জানাতে। মনে নাই, আপনি কোরাল মাছের ঝোল খেয়ে আসছেন? এবার আপনার কপাল খারাপ। আমরা আঁটঘাট বেধে নেমেছি। অলিগলিতেও পালাবার পথ পাবেন না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নরম কথায় বিশ্বাস করবেন না। বিএনপির মুখে মধু অন্তরে বিষ। এরা বিশ্বাসঘাতক। এই দলকে বিশ্বাস করা যায় না। প্রয়োজনে সতর্ক পাহারায় থাকতে হবে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, অপশক্তি থেকে আমাদের দেশকে মুক্ত করার আন্দোলন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চেতনায় মননে বাংলাদেশের জনগণ শপথ নিয়েছে। তারা অপশক্তি ও অপরাজনীতি মুক্ত বাংলাদেশ গঠন করবে।

তিনি বলেন, আমাদের বিজয়ে বার বার হস্তক্ষেপ করছে। গণতন্ত্রে আঘাত হেনেছে। বিজয় সংহত করতে হলে প্রধানতম শত্রু, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের আসল শক্তি বিএনপিকে পরাজিত করতে হবে। না হয়, বিজয় সংহত হবে না। তারা বারে বারে আমাদের বিজয়কে রক্তাক্ত করেছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, একদিন দুদিনের জন্য নয়, তাদের সম্পূর্ণরূপে মোকাবিলা করে সুসংহত বিজয় চাই। দুর্নীবাজ সাম্প্রদায়িক অপশক্তির অস্তিত্ব বাংলার মাটি থেকে মুছে ফেলতে হবে।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান তরুণ, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি প্রমুখ।