সেলিনা আক্তার:
বাজারে সবজির দাম কিছুটা কমলেও পেঁয়াজের দাম কমেনি, উল্টো বেড়েছে। ক্রেতারা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারছে না এখনও। ক্রেতারা বলছেন, সবজির দাম কমলেও তাদের খরচ কমছে না। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর কাওরান বাজার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় বাজারের বর্তমান চিত্র।
গত সপ্তাহের সাথে তুলনা করলে দেখা যায় প্রায় সব সবজিরই দাম কমেছে ৫ টাকা থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। আজকের বাজারে শিম ৬০-৮০ টাকা, সাদা ও বেগুনি শালগম ৩০-৪০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৪০ টাকা, টমেটো ৭০-৮০ টাকা, পেঁয়াজ কলি ৫০ টাকা, মটরশুঁটি ১১০-১২০ টাকা, মূলা ৪০ টাকা, লাল মূলা ৪০ টাকা, দেশি গাজর ৪০ টাকা, লম্বা বেগুন ১০০ টাকা, সাদা গোল বেগুন ৯০ টাকা, কালো গোল বেগুন ১০০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, ক্ষীরাই ৭০ টাকা, উচ্ছে ৭০ টাকা, পেঁপে ৪০-৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩৫-৪০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, ধুন্দল ৭০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, কচুরমুখী ১০০ টাকা, স্কোয়াশ ৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা, ধনেপাতা ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর লাল বাঁধাকপি (রেড ক্যাবেজ) ৫০ টাকা, সাদা বাঁধাকপি ৪০ টাকা, ফুলকপি ৫০ টাকা, ব্রকলি ৫০ টাকা, লাউ ৮০-১০০ টাকা করে বিক্রি করছে।
এছাড়া আজকে মানভেদে পেঁয়াজ ৯০-১০০ টাকা, লাল ও সাদা আলু ৪০-৪৫ টাকা, বগুড়ার লাল আলু ৬০ টাকা, দেশি রসুন ২৮০ টাকা, চায়না রসুন ২২০-২৫০ টাকা, ভারতীয় আদা ২৪০ দরে বিক্রি হচ্ছে। এক্ষেত্রে গত সপ্তাহের সাথে তুলনা করলে দেখা যায় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৫-২০ টাকা।
বাজার করতে আসা চাকরিজীবী আবুল খায়ের বলেন, আজকে বাজারে বেশিরভাগ সবজির দামই কমেছে। কিন্তু পেঁয়াজের দাম তো কমেনি উল্টো বেড়েছে। কোনও কিছুর দাম কমে আবার অন্যকিছুর যদি বেড়ে যায় তাহলে তো আমাদের খরচ আসলে কমাতে পারলাম না। খরচ যা ছিল সেটাই রয়ে গেছে।
আরেক ক্রেতা মো. হাফিজুর বলেন, আমাদের কোনকিছুরই আসলে ঠিক নাই। আজকে দাম কমে তো কালকে আবার বেড়ে যায়। কোনও কিছুই স্থিতিশীল নেই।
সবজিবিক্রেতা বিল্লাল বলেন, সবজির দাম অনেক কমে এসেছে। আরও কমে যাবে বলেই মনে হচ্ছে।
আলু-পেঁয়াজ বিক্রেতা আলমগীর হোসেন বলেন, আলুর দাম আগের থেকে কমেছে। তবে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। বাজারে বিভিন্ন মানের পেঁয়াজ পাওয়া যায়। মানভেদে পেঁয়াজের দাম আলাদা হয়। এক্ষেত্রে দাম কিছুটা বেশি-কম থাকে।
এছাড়া আজকের বাজারে ইলিশ মাছ ওজন অনুযায়ী ১০০০- ১৪০০ টাকা, রুই মাছ ৩২০-৫০০ টাকা, কাতল মাছ ৩৫০-৬০০ টাকা, কালিবাউশ ৩৫০-৬০০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৭০০ -১২০০ টাকা, কাচকি মাছ ৪৫০ টাকা, কই মাছ ২০০-১২০০ টাকা, পাবদা মাছ ৪০০-৬০০ টাকা, শিং মাছ ৩০০-১২০০ টাকা, বেলে মাছ ৬০০-১২০০ টাকা, টেংরা মাছ ৫০০-৮০০ টাকা, মেনি মাছ ৪০০-৭০০ টাকা, কাজলি মাছ ১০০০-১২০০ টাকা, বোয়াল মাছ ৫৫০- ১২৫০ টাকা, শোল মাছ ১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ব্রয়লার মুরগি ১৯০-২০০ টাকা, কক মুরগি ২৯০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৬৫ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০ টাকা, গরুর মাংস ৬৫০-৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মুদি দোকানের সব পণ্যের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত। আজকে ছোট মসুরের ডাল ১৪০ টাকা, মোটা মুসরের ডাল ১১০ টাকা, মুগ ডাল ১৬৫ টাকা, খেসারি ডাল ১০৫ টাকা, বুটের ডাল ১০০ টাকা, ছোলা ১০৫ টাকা, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৭৩ টাকা, প্যাকেটজাত চিনি ১৪৮ টাকা, খোলা চিনি ১৪০, টাকা, দুই কেজি প্যাকেট ময়দা ১৫০ টাকা, আটা দুই কেজির প্যাকেট ১৩০ টাকা, খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক্ষেত্রে গত সপ্তাহের সাথে তুলনা করলে দেখা যায় মসুর ডালের দাম বেড়েছে ৫ টাকা।
ডালের দাম নিয়ে জব্বার স্টোরের বিক্রেতা আজিজুল বলেন, মুসরের ডালের দাম কমার সম্ভাবনা নেই। হাইব্রিড মোটা ডাল আছে যেগুলোর দাম কম। কিন্তু দেশি ডালের দাম বেশি।