নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, একটি অবৈধ সংসদ অধিবেশন বসেছে। সেখানে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেছেন, বিএনপি নাকি জয়ের নিশ্চয়তা না পেয়ে নির্বাচনে আসেনি। অথচ তারা ভারত, রাশিয়া, চীনের নিশ্চয়তা নিয়ে দেশের ৯৫ শতাংশ মানুষকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করেছে। যে নির্বাচন মানুষ বয়কট করেছে। এরা জনগণের নয়, চীন ভারত রাশিয়ার সরকার।
তিনি বলেন, এ সরকারকে মানতে আমরা বাধ্য নই। বিএনপি কোনো দেশের নিশ্চয়তা নিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়নি, আন্দোলনও করেনি, রাজনীতিও করে না। জনগণ নিয়ে আমরা রাজনীতি করি। দেশের মানুষ বিএনপির সঙ্গে আছে। এ অবৈধ সংসদের ৩০০ সদস্যদের মধ্যে ১৯৯ জন হচ্ছেন ব্যবসায়ী। ২৬ জন রাজনীতিবিদ পেয়েছে। বাকিরা অন্যান্য পেশার। এখানে আবার দিল্লির প্রার্থীও আছে।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে নগরীর কাজীর দেউরি নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয় মাঠে অবৈধ সংসদ বাতিল ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবিতে কালো পতাকা মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ পতাকা মিছিল আয়োজন করে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের দমন পীড়ন করতে দ্রুতবিচার আইনকে স্থায়ী করার অপচেষ্টা চলছে। এরই মধ্যে কুইক রেন্টালের নামে ৯০ হাজার কোটি টাকার দায়মুক্তি আইন পাস করেছে। তারা লুটপাট করবে, কিন্তু জনগণ প্রতিবাদ করতে পারবে না। যদি প্রতিবাদ করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে। সাংবাদিকসহ যারা সত্য কথা বলে তাদের দমন করতে আইসিটি আইন করা হয়েছে।
শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে ডা. শাহাদাত বলেন, অনেকে শরীফ থেকে শরীফা হয়ে গেছে। তারা শিক্ষার হার বেশি দেখিয়েছে। কিন্তু দিনদিন শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। যুবসমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাবো, মানুষ তার কথা বলার অধিকার ফিরে পাবে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেন মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান. মহানগর বিএনপির সিনিয়ক যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, শফিকুর রহমান স্বপন, আবদুল মান্নান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হারুন জামান, মাহবুব আলম, নিয়াজ মো. খান, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আনোয়ার হোসেন লিপু, মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর মহিলাদলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, ডা. নুরুল আবছার, থানা সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, মো. শাহাবুদ্দীন, হাজী বাদশা মিয়া, মনির আহম্মেদ চৌধুরী, গিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়া, কাওসার হোসেন বাবু প্রমুখ।