সাংবাদিক খোকনের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারে ১০ দিনের আল্টিমেটাম

প্রকাশিত: ১০:০১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২, ২০২৩

সাইফুল ইসলাম:

দৈনিক যুগান্তরের অনুসন্ধানী প্রতিবেদক সাংবাদিক নেসারুল হক খোকনের বিরুদ্ধে ঠিকাদার আব্দুর রশীদের দায়ের করা হয়রানিমূলক মামলা আগামী ১০ দিনের মধ্যে প্রত্যাহারের আল্টিমেটাম দিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা। তা না হলে প্রধানমন্ত্রী কাছে স্মারকলিপি দেওয়াসহ কঠিন আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন তারা। আজ শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি চত্বরে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় এ আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।

মানববন্ধনে ক্র্যাব সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল বলেন, এই পর্যন্ত যারাই সাংবাদিক নেসারুল হক খোকনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন, সেসব কর্মকর্তারা এখন কেন্দ্রীয় কারাগারে। সুতরাং সাবধান হয়ে যান। দ্রুত এ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করুন।

মির্জা মেহেদী তমাল বলেন, গত ২১ নভেম্বর ’পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদন, কর্ণফুলীর ৭ ড্রেজার নির্মাণে দুর্নীতি’ শিরোনামে যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে সেটি সম্পূর্ণই পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনের অংশ। এরপর এ রকম হয়রানিমূলক মামলার পেছনে অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে।

ক্র্যাব সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ বলেন, যথাযথ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে। কারণ যেখানে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় তাদের তদন্ত প্রতিবেদনে বলেছে, সরবরাহকৃত ৬১৫ কোটি টাকারও বেশি দামে কেনা সাত ড্রেজার নির্মাণে শর্ত ভঙ্গ করা হয়েছে। পিপিআর মানা হয়নি। এমনকি বিদেশি বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধান ছাড়াই কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স ড্রেজার তৈরি করায় সেগুলো তুলনামূলক অনেক কম কার্যকরী।

মামুনুর রশীদ বলেন, এছাড়াও যে তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আটজন প্রকল্প পরিচালকের সরকারি সব সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করা হয়েছে, সেখানে যুগান্তরে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন মিথ্যা, বানোয়াট উল্লেখ করে মামলা করা দুরভিসন্ধিমূলক।
তিনি বলেন, কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্সের মালিক আব্দুর রশীদের পেছনে কারা? কারা তাকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন। সবাইকে খুঁজে বের করা হবে। অবিলম্বে যদি মামলা প্রত্যাহার করা না হয়, তাহলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে এবং আরও কঠোর কর্মসূচী দেওয়া হবে।

ক্র্যাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম লাভলুর সঞ্চালনায় এই প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, ডিআরইউর সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ, সাবেক সভাপতি আবুল খায়ের, ইশারফ হোসেন ইসা, ক্র্যাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান খান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বিকু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আরিফ, ডিআরইউর সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ক্র্যাবের সিনিয়র সদস্য জামিউল আহসান শিপু প্রমুখ।

এ সময় ক্র্যাব ও ডিআরইউসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সাধারণ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।