সাংবাদিক নাদিম হত্যায় মনিরের জামিন স্থগিত

প্রকাশিত: ৭:১৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
সংবাদ প্রকাশের জেরে জামালপুরের সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যার মামলার অন্যতম আসামি মনিরুজ্জামান মনিরকে দেওয়া হাইকোর্টের জামিন ২ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করেছেন চেম্বার জজ আদালত। ওইদিন আদালতে এ বিষয়ে শুনানি হবে। আজ বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার জজ আদালত এ আদেশ দেন। এদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুল আলম। আর আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মধু মালতী চৌধুরী।


এর আগে গত সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) মনিরুজ্জামান মনিরকে জামিন দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। পরে এ জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। তারই ধারাবাহিকতায় আজ শুনানি হয়।
একই মামলায় গ্রেফতার উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের বরখাস্ত চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। ২০ নভেম্বর পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিয়ে মামলাটি সেদিন আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়। এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার আদালত এ আদেশ দেন।

এদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ সাইফুল আলম। আসামি বাবুর পক্ষে ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির।
এর আগে ১৯ সেপ্টেম্বর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আনোয়ারা শাহজাহান জানিয়েছিলেন, আলোচিত এ হত্যা মামলার প্রধান আসামি মাহমুদুল আলম বাবুকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত,
সংবাদ প্রকাশের জেরে গত ১৪ জুন রাতে বকশীগঞ্জে বাসায় ফেরার পথে উপজেলার পাটহাটি এলাকায় সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত হন সাংবাদিক নাদিম। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৫ জুন বিকেল ৩টায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় গত ১৮ জুন নাদিমের স্ত্রী বাদী হয়ে ২২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলার প্রধান আসামি সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু, জাকিরুল, রেজাউল, মনিরুলসহ আসামির মধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন অন্য আসামি গোলাম কিবরিয়া সুমন। পুলিশ অজ্ঞাতনামা হিসেবে আরও আটজনকে গ্রেফতার করলেও মামলায় তাদের নাম উল্লেখ ছিল না।