সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি রমজান আলীসহ চার জনকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা মামলার প্রধান আসামিসহ দুই জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ রোববার (১২ নভেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল আদালতে হাজির হয়ে আাসামিরা জামিন আবেদন করেন। বিচারক মো. জিয়ারুল ইসলাম তাদের আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ নিয়ে এই মামলায় মোট তিন আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জামিন নামঞ্জুর হওয়া আসামিরা হলেন- সাতক্ষীরা শহরের ইটাগাছা গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দীনের ছেলে মো. নাহিদ (২৬) ও বাঁকাল গ্রামের মো. সাবদুলের ছেলে মো. সিরাজুল ইসলাম (২৭)। উক্ত দুই আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী এএসএম আশরাফুল আলম।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গত ২৩ অক্টোবর সকাল ১১টার দিকে নাহিদ ও রিপনসহ তাদের সহযোগীরা ধারালো অস্ত্র, লোহার রড, হাতুড়ি নিয়ে সাতক্ষীরা শহরের বাঁকালস্থ সাংবাদিক রমজান আলীর বাড়িতে প্রবেশ করেন। তারা অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। রমজান আলী প্রতিবাদ করলে মামলার ৪ নম্বর আসামি আব্দুল গফফারের নির্দেশে নাহিদ, রিপন, সিরাজুলসহ অন্য আসামিরা রমজান আলীকে মারধর ও কুপিয়ে আহত করে।
এ সময় রমজান আলীর চিৎকারে বোন সাজিদা খাতুন, ভাগ্নে ফাহিম সরদার ও রমজানের ছেলে ফারহান ফেরদৌস এগিয়ে এলে আসামিরা তাদেরও মারধর করে। এর এক পর্যায়ে নাহিদ রমজান আলীর পেটের বাম পাশে ছুরিকাঘাত করেন। এরপর রিপন জিআই পাইপ দিয়ে বোন সাজিদাকে আঘাত করেন। সিরাজুল ফারহানকে রামদা দিয়ে তার পিঠের বাম পাশে কোপ দেন। পরে স্থানীয় লোকজন আহতদের সবাইকে সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় আহত রমজান আলীর মেজ ভাই আব্দুর রহমান বাদী হয়ে থানায় নাহিদ, রিপন, সিরাজুল গফফারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে পরদিন মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় আজ রোববার (১২ নভেম্বর) নাহিদ ও সিরাজুল আদালতের কাছে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আগে থেকেই এ মামলায় আসামি আব্দুল গফফার কারাগারে আছেন।