সাইফের চিকিৎসার টাকা দ্রুত দিয়ে প্রশ্নের মুখে বিমা কোম্পানি

প্রকাশিত: ১:১১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৬, ২০২৫

বিনোদন ডেস্ক:

নিজ বাড়িতে ডাকাতের ছুরিকাঘাতে জখম হন বলিউডের নবাব সাইফ আলি খান। বি-টাউন জুড়ে তোলপাড় ফেলে দেওয়া এ ঘটনা যেমন সংবাদের শিরোনাম হয়েছে, তেমন আলোচনাও হয়েছে সর্বমহলে।

সাইফের এ ঘটনা নিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে নায়কের সহকর্মীরাও বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন। সম্প্রতি অভিনেতা শাহিদ কাপুর বলেছেন, সাইফ তারকা বলেই বেশি আলোচনায় এসেছে। তবে শুধু সাইফ নয়, এমন ঘটনা যার সাথেই ঘটুক- সবার জন্যই ভাবতে হবে।

এবার সাইফের হাসপাতালের বিল পরিশোধ ইস্যু নিয়ে শুরু হলো নতুন আলোচনা! সেখানে উঠে এসেছে তারকা ও সাধারণের বৈষম্য নিয়ে প্রশ্ন।
বিষয়টি খোলাসা করে বললে, স্বাভাবিকভাবেই স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা নেন সাইফ আলি খান। সাইফের চিকিৎসার যে খরচ, তার অনেক বড় একটি অংশের যোগান দেবে সেই বিমা কোম্পানিটি। সাইফের ছুরিকাঘাতের এই ঘটনায় তার চিকিৎসার খরচ গিয়ে দাঁড়ায় ৩৬ লক্ষ রুপি, যার ২৫ লক্ষের যোগান দেবে সাইফকে সুবিধা দেওয়া সেই স্বাস্থ্য বিমা কোম্পানি।

ইতোমধ্যে সাইফের চিকিৎসা খরচ বাবদ সেই ২৫ লক্ষ রুপি হাসপাতালে দ্রুত সময়ের মধ্যে দিয়েছে বিমা কোম্পানি। আর তা নিয়েই নানা প্রশ্নের সৃষ্টি! এক চিকিৎসক সংগঠনের দাবি, সাধারণ গ্রাহকেরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে চিকিৎসা খাতে সাইফের থেকেও কম অর্থ খরচ করে। এরপরও স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা পান না তারা। অথচ সাইফের বিমা কোম্পানি নায়কের চিকিৎসায় ২৫ লক্ষের বড় অঙ্কের অর্থ দিয়েছে তাও আবার রাতারাতি!

মুম্বাইয়ের সেই চিকিৎসক সংগঠনটি জানায়, চার দিনের মোট ৩৬ লক্ষ রুপি দিতেও দেরি করেনি সাইফের বিমা কোম্পানিটি। তারা এ-ও জানতে চেয়েছে, সাইফ তারকা বলেই কি দ্রুত বড় অঙ্কের অর্থ দিয়েছে তারা; এমন বৈষম্য কতটা কাম্য?

শুরুতে কয়েক নেটিজেন বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তাদের একজন এক চিঠিতে সেই চিকিৎসক সংগঠনের নজর আকৃষ্ট করেন। সেই চিঠিও ভাগ করে নেন সামাজিক মাধ্যমে। এর পরেই টনক নড়ে সংগঠনের। অভিযোগকারীর মতে, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিমা সংস্থা লীলাবতী হাসপাতালে সাইফের চিকিৎসার জন্য ২৫ লক্ষ রুপি অনুমোদন করে। মেডিক্যাল লিগ্যাল মামলায় এর জন্য এফআইআর কপির প্রয়োজন। যা সম্ভবত সাইফকে দিতে হয়নি।

সেই জায়গা থেকে তাদের দাবি, আগে সাইফের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার সঠিক তদন্ত হোক। একইসঙ্গে সব শ্রেণির গ্রাহকদের সমান পরিষেবা দেওয়া হোক। অগ্রাধিকারমূলক চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়টি আটকাতে কড়া নিয়ম চালু হোক।