সাবেক আইজিপি মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি, বাকিদের তদন্ত শেষের নির্দেশ

প্রকাশিত: ২:৪৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৫

নিজেস্ব প্রতিবেদক:

 

জুলাই-আগস্ট গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে একদিন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এছাড়াও সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউল আহসান ও আইজিপিসহ ৮ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলার তদন্ত ২ মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এসব আদেশ দিয়েছেন।

দেখা যায়, সকাল ১০টার দিকে তাদের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ও কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে দুটি আলাদা প্রিজনভ্যান করে জুলাই-আগস্ট গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউল আহসান ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনসহ পুলিশের ৮ কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

যাদের হাজির করা হয় তারা হলেন- এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত জিয়াউল আহসান, সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, ঢাকা জেলার সাবেক পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল কাফি, মিরপুর ডিএমপির সাবেক ডিসি মো. জসিম উদ্দিন মোল্লা, ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিদুল ইসলাম, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান, গুলশান থানার সাবেক ওসি মাজহারুল হক, ঢাকা উত্তর ডিবির সাবেক পরিদর্শক আরাফাত হোসেন। এছাড়া সাবেক পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন ফারুকী ও বরিশাল রেঞ্জের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিনকেও হাজির করা হয়। এর আগেও তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছিল।

গত ২৭ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল প্রসিকিউশনের আবেদন মঞ্জুর করে তাদের হাজির করতে আদেশ দিয়েছিলেন।

পুলিশের সাবেক ১৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে তাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরে নির্দেশ দেয়া হয়। এর মধ্যে যারা গ্রেফতার রয়েছেন তাদের আজ আনা হয়েছে ট্রাইব্যুনালে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত বছরের ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে প্রসিকিউশনে ১২৫টির মতো অভিযোগ জমা পড়ে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা বরাবরও অভিযোগ জমা পড়ে বলে জানা গেছে।