নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাবেক সংসদ সদস্য তাহজিব আলম সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২ নভেম্বর) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ধানসিড়ি কম্পোজিট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ্ব মো. দুলাল হোসেন খাঁন।
দুলাল হোসেন খাঁন বলেন, গাজীপুর জেলার কাশিমপুরের দক্ষিণ পানিশাইল মৌজায় ১৬৭ শতাংশ জমি ক্রয়ের মালিক আমি। জমি নিচু থাকায় মাটি ভরাট করে ফ্যাক্টরি স্টিল বিল্ডিং নির্মাণ করার সময় সাবেক সংসদ সদস্য তাহজিব আলম সিদ্দিকী ও তার ভাই তানজীর আলম সিদ্দিকী তাদের চিহ্নিত সন্ত্রাসী দিয়ে আমার কাজে বাধা দেন এবং জবর দখলের উদ্দেশ্যে আমাকে ভয়ভীতি ও গুম করার হুমকি দেন। তারা সুকৌশলে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে প্রশাসনের লোক দিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে ৬৮ দিন আটকে রেখে অতি নির্মমভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালান, যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
তিনি অভিযোগ করেন, অপহরণের সময় আমার গাড়িতে থাকা টাকা এবং দুটি স্মার্ট মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। এসময় একটি চেকবই এবং ১৫টি সাদা স্ট্যাম্পে সাক্ষর নেন। অপহরণ থাকা অবস্থায় তারা আমার জমি দখল করে নেন। পরবতী সময়ে তৎকালীন প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আমাকে মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় থানায় নিয়ে গিয়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে। সেসময় প্রশাসনের কর্মকর্তারা অবৈধ অস্ত্র দেখিয়ে মামলা দেন। আমি জামিনে মুক্ত হয়ে জমি উদ্ধারের জন্য গেলে তারা আমাকে আবারও গুম ও মেরে ফেলার হুমকি দেন।
দুলাল বলেন, গাজীপুরের তৎকালীন পুলিশ সুপার হারুনকে দিয়েও পুনরায় আমাকে গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করা হয়। তাহজিব আলম সিদ্দিকীর নামে জমি লিখে দিতে চাপ প্রয়োগ করে প্রশাসন। জমি না লিখে দেওয়ায় ডিবি হারুন ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে আমার পরিবার থেকে দফায় দফায় ৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন।
তিনি বলেন, আমি আমার জমি উদ্ধারের পাশাপাশি সাবেক সংসদ সদস্য তাহজিবসহ তার লোকজনদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে এসময় ধানসিড়ি কম্পোজিট লিমিটেডের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।