সালথায় মামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ,গ্রেপ্তার ৫

প্রকাশিত: ২:৪৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২১, ২০২৪

ফরিদপুর প্রতিনিধি:

ফরিদপুরের সালথায় মামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আজাদের উপর। কাসেম ব্যাপারী (২৮) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে কয়েক গ্রামের মানুষকে হত্যা মামলায় আসামি করার ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করা হয়।

এছাড়াও তার ছত্রছায়ায় উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের দোকানপাট, বাড়ি-ঘর লুটপাট ও বাড়ি ঘরে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়ার কথা বলে কোটি টাকার চাঁদাবাজি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ফরিদা বেগম বাদী হয়ে সালথা থানায় বিএনপি নেতা আজাদকে প্রধান আসামি করে ২৯ জনের নামে লুটপাট ও চাঁদাবাজির মামলা করেন। পরবর্তীতে রবিবার মধ্যরাতে সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়ে পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেন।

সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ ও সেনাবাহিনী রবিবার দিবাগত রাত ১ টা থেকে রাত সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত যৌথ অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চাঁদাবাজ ও লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচ ব্যক্তি হলেন- চাঁদাবাজির মূলহোতা হিসেবে অভিযোগ উঠা পাটপাশা বালিয়া গ্রামের মৃত মমিন মাতুব্বরের ছেলে জাহিদ মাতুব্বর (৪৫), আড়ুয়াকান্দি গ্রামের মৃত হাসেম মাতুব্বরের ছেলে নুরুদ্দীন মাতুব্বর ওরফে নুরু মেম্বার (৬০), মেম্বার গট্টি গ্রামের মৃত রহমান মাতুব্বরের ছেলে ও সাবেক ইউপি মেম্বার রফিক মাতুব্বর (৫০), দোহার গট্টি এলাকার আওয়াল মাতুব্বরের ছেলে আকরাম মাতুব্বর (৩৫), ছোট বালিয়া গ্রামের মালেক শেখের ছেলে ফিরোজ শেখ (৩৫)।
তবে মামলার প্রধান আসামী সালথা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণসম্পাদক খন্দকার খায়রুল বাসার আজাদের বিরুদ্ধে দলীয় কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় প্রাণ নাশের আশঙ্কা করছেন মামলার বাদী ফরিদা বেগম।